

শুরু হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবথেকে মর্যাদার লড়াই, জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২০ তম আসরের খেলা। টুর্নামেন্টের শুরুর দিনেই আজ টায়ার ওয়ানের ম্যাচে মুখোমুখি হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা ও গতবারই টায়ার টু থেকে টায়ার ওয়ানে উঠে আসা রাজশাহী। যেখানে ঘরের মাঠে আজ খুলনাকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে রাজশাহী বিভাগ। তুষার ইমরানের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে তারা।
এদিন রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন রবিউল ইসলাম রবি ও এনামুল হক বিজয়। তবে শুরুটা একদমই বাজে করেছে খুলনা, উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় রবি ৩ ও তিনে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবকে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরান পেসার শফিউল ইসলাম।
এরপর চার নাম্বারে ব্যাট করতে আসেন অভিজ্ঞ তুষার ইমরান। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি তেমন কেও। এনামুল হক বিজয় ২৬, নুরুল হাসান সোহান ৪, মেহেদি হাসান মিলন ৭ রানে বিদায় নিলে মাত্র ৫৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে তুষার বিপর্যয় সামাল দিতে চাইলেও পরে এগুতে পারেননি খুব বেশি। সৌম্যকে ১৩ রানে ফিরিয়ে দুজনের ৪৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন শফিউল। সেই সাথে পঞ্চম বারের মত ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে পূরণ করেন ৫ উইকেটের কোটা।

সেখান থেকে নাহিদুলের সাথে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে এই ফরম্যাটে নিজের ২৯ নাম্বার শতকটা তুলে ১০৪ রানে আউট হয়ে যান তুষার ইমরান। পরে খুলনা অল-আউট হয় মাত্র ২১০ রানেই।
সফরকারীদের ২১০ রানে আটকিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করে রাজশাহী। শুরুতেই উদ্বোধনি জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান যোগ করেন ১১৭ রান। শান্তকে ৪৬ রানে ফিরিয়ে এই জোট ভাঙ্গেন আফিফ। এরপর আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১ রানে অপরাজিত থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকির সাথে ৭৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন মিজানুর। দিন শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ১ উইকেটের বিনিময়ে ১২২ রান।