

বাঁ হাতের কনিষ্ঠার চোট নিয়ে এশিয়া কাপের দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। খেলেছিলেন চারটি ম্যাচও। কিন্তু চোটের অবস্থার আরও অবনতি হলে দেশে ফিরে আসেন ফাইনালের আগেই। এসেই অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য হন। ফলে তিন দিন হাসপাতালেই ছিলেন বাংলাদেশের টি টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক। আজ অবশেষে দেশসেরা অলরাউন্ডার হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক।
আজ় রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনি হাসপাতাল ছাড়েন। তবে, আঙুলের ইনফেকশন পুরোপুরি না শুকালে বড় অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন না সাকিব। আর এই ইনফেকশন থেকে সেড়ে উঠতে প্রায় মাসখানিক লেগে যাবে তার।
এর আগে আজ সকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সাকিবের সঙ্গে দেখা কবেন। এবং সাকিবের আঙুলের বিষয়ে খোঁজখবরও নেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান সাকিবের সঙ্গে।
এদিকে, মাশরাফি আসার আগে সাকিবের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনিও প্রায় আধা ঘণ্টা কাটান সাকিবের সঙ্গে। সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের সবশেষ অবস্থা কি তা নিয়েও কথা বলেন পাপন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ধরার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন চোট পাওয়া হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। গায়েও জ্বর জ্বর ভাব। দেরি না করে চলে যান হাসপাতালে। শুনলেন দুঃসংবাদ। চোট পাওয়া বাঁ হাতের কড়ে আঙুল থেকে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছড়িয়ে পড়েছে। পুঁজ জমে মারাত্মক অবস্থা। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচার করে পুঁজ বের করা। এরপর গত তিন দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাকিব।