

সাকিব আল হাসানের আঙুলের ইনজুরি নিয়ে জল কম ঘোলা হলো না। জানুয়ারিতে ইনজুরিতে পড়া সাকিবকে হুট করেই নামিয়ে দেওয়া হয় মার্চের নিদাহাস ট্রফিতে। ইনজেকশন নিয়েই খেলেন উইন্ডিজদের বিপক্ষে। অবস্থা খারাপের দিকে যাবার আগেই করতে চেয়েছিলেন অপারেশন। তবে ফিজিওর ভুল পরামর্শে খেলেন এশিয়া কাপের ৪ ম্যাচ। এখন আঙুল নিয়ে বিপাকে থাকা সাকিবের মাঠে ফিরতে লাগবে তিন মাস!
পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে না খেলেই দেশে ফেরেন সাকিব। ডাক্তার দেখাতে গেলে সাকিবের আঙুল দেখে ভড়কে যান ডাক্তার নিজেই। অপারেশন করে বের করা হয় ৬০-৭০ মিঃলিঃ পুঁজ। সাকিব নিজের দুরাবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রথম আলোকে। প্রথম আলোর বরাত দিয়ে এই খবর প্রচার করেছে ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজের মতো ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটও।
সাকিব আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘এই অবস্থা আমার গত ১৪-১৫ দিন ধরে। এখানে একজন ডাক্তার সেটা দেখেই বুঝে গেলেন। কিন্তু এই ১৪-১৫ দিনে আমাদের ফিজিও কিছুই বুঝল না!’
তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার খবরও দিলেন সাকিব, ‘পুঁজ বের করে ফেলায় এখন ভালো আছি। হয়তো দ্রুতই বাইরে (দেশের বাইরে) যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। কিন্তু সমস্যা হলো সংক্রমণটা সারার আগ পর্যন্ত দুনিয়ার কেউই ওখানে অস্ত্রোপচার করতে পারবে না। এটা ঠিক হতে ২-৩ সপ্তাহ লাগবে। অস্ত্রোপচার করলে আরও ৮ সপ্তাহ। সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’
সাকিবের কথায় স্পষ্ট ফিজিও ভুল পরামর্শ দেন সাকিবকে, ‘বিসিবি সভাপতি আমাকে বলেছিলেন যদি পারি এশিয়া কাপে খেলতে। আর না পারলে অস্ত্রোপচার করাতে। সিদ্ধান্তটা আমাকেই নিতে বলেন। আমি তখন ফিজিওর কাছে জানতে চাই, খেললে অবস্থা আরও খারাপ হবে কি না। সে বলল, সে রকম কিছু হওয়ার শঙ্কা নেই। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, যেহেতু এশিয়া কাপ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটুকু ব্যথা নিয়ে এই ৪-৫টা ম্যাচ খেলে ফেলি।’
ফিজিওকে তবুও সব দোষ দিচ্ছেন না সাকিব, ‘ফিজিও সমস্যাটা ধরতে পারেনি, এটা সত্যি। একটু তো ভুল হয়েছেই। কিছুটা দায় তার ওপর অবশ্যই বর্তায়। তাই বলে সব দোষ তার ঘাড়ে দেব না। সমস্যাটা যে সংক্রমণের দিকে যেতে পারে, এটা আসলে আমরা কেউই বুঝতে পারিনি।’
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।