

মরুর বুকে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ফাইনালে জিততে জিততে হেরে বসে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এখন অব্দি ছয় বার ভিন্ন ভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেও কখনো জিততে পারেনি টাইগাররা। আসল লড়াইয়ের দিনে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ চোকার হয়ে যাচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন আসছে ঘুরেফিরেই।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মাশরাফি সম্মুখিন হলেন এমন প্রশ্নের। তাতে সদা আশাবাদী মাশরাফি উত্তর দিয়েছেন পজিটিভ থেকেই।

মাশরাফি বলেন, ‘আপনার কি মনে হয়, চোক করি? আসলে হচ্ছে না কোন কারণে। এটা (অনেকক্ষণ ভেবে) আমার কাছে মনে হয় একবার পারলে জিনিসটা সোজা হতো। কারণ, ছেলেরা যেভাবে স্টার্ট করেছিল (ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে) তাতে মনে হয়নি ওরা নার্ভাস ছিল। তবে মিডল অর্ডারে মনে হচ্ছিল ওরা কিছুটা নার্ভাস ছিল। ঐসময় উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকলে হয়তো ২৬০/ ২৭০ করা সম্ভব ছিল। ইজিলি করা যেতো ২৬০-২৭০। অবশ্যই এখানে মেন্টালি একটু কাজ করে, খুবই স্বাভাবিক। আর আমার কাছে মনে হয়, এই স্টেপ পার করার জন্য একটা টুর্নামেন্ট জেতা খুবই জরুরি। তাহলে সামনে আরো বড় বড় টুর্নামেন্ট জেতা সম্ভব’
২০০৯ সালে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ দল। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে ২ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। এরপরের ফাইনালটা এশিয়া কাপের, সেটাও ঘরের মাঠে। ২০১২ সালে পাকিস্তানকে বাগে পেয়ে হারিয়ে দেবার পথেই ছিল বাংলাদেশ দল। তবে তীরে এসে তরী ডোবে সেবারও। ২ রানে হেরে এশিয়ার সেরা তকমা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশ দলের।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ হয়েছিল বাংলাদেশেই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া সেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। সেযাত্রায় অবশ্য পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। ঘরের মাঠে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ফিল্ডিং করতে যেয়ে সাকিব আল হাসানের চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাবার দিনে ৭৯ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের আগে মার্চে শ্রীলঙ্কায় তিন জাতির নিদাহাস ট্রফিতেও স্বাগতিক লঙ্কানদের বিদায় করে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। স্বপ্নভঙ্গ হয় শেষ বলে যেয়ে। দীনেশ কার্তিকের শেষ বলে হাঁকানো ছক্কায় মিইয়ে যায় শিরোপার স্বপ্ন।