

মাশরাফি যেন ‘সুপারম্যান’! বলটা তালুবন্দী করতে ডাইভ দিয়েছেন ২.৩৫ মিটার বা প্রায় ৮ ফুট! বুড়ো বয়সে মাশরাফির এমন ক্যাচের ঘোরেই আছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো। মাশরাফি ছাড়া সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ ধরে নজরে আসেন মুশফিকও। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে সেই ক্যাচের কথা উঠে। আর নিজেদের এমন ক্যাচ নিয়ে ঠাট্টার ছলে মুশফিক বলে ফেলেন, ‘আমরা বুড়ো বয়সেও একটা-দুটি ভালো ক্যাচ নিতে পারি।, মাশরাফি ভাইও খুশি, আমিও খুশি।’
এদিন বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২০২ রানে থামে পাকিস্তান। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শোয়েব মালিক ও ইমাম-উল-হকের ব্যাটে ঘুড়ে দাঁড়াতে চাচ্ছিল পাকিস্তান। ৩০ রান করে ফেলেছিলেন মালিক। সেই সময়ই রুবেল হোসেনের লেগ স্টাম্পের ওপর করা বলটা শোয়েব মালিক ফ্লিক করেছিলেন দারুণ। এরপর যা হলো, তাতে গোটা আবু ধাবি স্তম্ভিত। মিডউইকেটে বাঁদিকে বাজপাখির মতো ঝাঁপ দিয়ে ক্যাচটা ধরে ফেললেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আহা, কী ক্যাচ ধরেছেন মাশরাফি—অবাক চোখে তাকিয়ে মালিক। বলতে গেলে ম্যাচের মোড় অনেকটাই ঘুরে গেল ওখানে।
শোয়েবকে ওই সময়ে ফেরাতে না পারলে, কে জানে, হয়তো এই ম্যাচের গল্পটা অন্যভাবে লিখতে হতো। সেই ক্যাচের পর সতীর্থদের শরীরী ভাষাও গিয়েছিল বদলে। ম্যাচ শেষে মাশরাফি অবশ্য বিনয় দেখিয়ে বলেছেন, তাঁর সৌভাগ্য ক্যাচটা হাতছাড়া করেননি।
‘আমি সৌভাগ্যবান যে, ক্যাচটা ছাড়িনি। শোয়েব মালিক দারুণ ছন্দে ছিল, সে জীবন পেলে ম্যাচটা টেনে নিয়ে যেত। সব মিলিয়ে আজকে আমাদের ফিল্ডিং খুব ভালো ছিল।’

শোয়েব মালিক বরাবরই প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য হুমকি। তাঁর ক্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সে কথাই ম্যাচ সেরা মুশফিক বললেন,
‘এটা অনেক বড় উইকেট ছিল। শোয়েব ওদের দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক ক্রিকেটার। অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল যে তাকে বড় ইনিংস খেলতে দেইনি।’
পাঁজরে চোট নিয়েও সরফরাজ আহমেদের কী অসাধারণ ক্যাচটাই–না ধরেছেন মুশফিক। আর মাশরাফি বিন মুর্তজা? শোয়েব মালিকের ক্যাচটা! সাতবার অস্ত্রোপচার করা দুটো পায়ে ভর করেও অমন ‘সুপারম্যান’সুলভ ক্যাচ ধরা যায়! ম্যাচ শেষে এসব ক্যাচ নেওয়ার তৃপ্তির কথা মুশফিক জানিয়েছেন একটু মজা করেই,
‘আমরা আল্লাহর রহমতে বুড়ো বয়সেও একটা-দুটি ভালো ক্যাচ ধরার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছে। সেদিক থেকে খুবই খুশি। মাশরাফি ভাইও খুশি, আমিও খুশি।’