

চলছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ‘এশিয়া কাপ ২০১৮’ এর খেলা। যেখানে চোটে পড়ে শুরুর দিনেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। এরপর পাকিস্তানের সাথে অঘোষিত সেমিফাইনালের আগে হঠাৎই শোনা গেলো এ ম্যাচে পাওয়া যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও। এমন আচমকা খবরের পর ম্যাচের শুরুতে কেমন হয়েছিলো বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের অবস্থা? ম্যাচ শেষে সেসব কথা জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকেররা এখন পড়েছে উভয় সংকটে! চলমান এশিয়া কাপে দাপট দেখিয়েই টাইগাররা উঠেছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। সেখানে লড়তে হবে ভারতের সাথে। টানা দুবারের সাথে শেষ চারবারের মধ্যে তিনবারই এই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার আনন্দ যেমন ছুঁয়ে যাচ্ছে তেমনি আক্ষেপে পুড়তে হচ্ছে এমন সময় দলের বেশকিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের ছিটকে যাওয়াতে। যার সবশেষ সংযোজন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
চলমান এশিয়া কাপে যেন বাংলাদেশ দলে শুরু হয়েছে ইনজুরির মিছিল। যেখানে হাতের ইনজুরিতে তামিম ইকবালের এই টুর্নামেন্টকে বিদায় বলেছেন অনেক আগেই। আছে মুশফিকুর রহিমের পাঁজরের চোট, সেই চোটটা যে ভালোই ভোগাচ্ছে টাইগারদের মিঃ ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটসম্যানের। ব্যাটিং করলেও সুবিধামত করতে পারছেন না ফিল্ডিংটা। এবারতো ফাইনালে উঠার মিশনে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোটের কারণে ছিটকে গেলেন সাকিবও। বিদায় বলতে হলো পুরো টুর্নামেন্টকেই।

সাকিবের না থাকার এমন আচমকা খবরের পর ম্যাচের শুরুতে কেমন হয়েছিলো বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের অবস্থা? ম্যাচ শেষে সেসব কথা জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিবের ছিটকে পড়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই সবাইকে ডেকে একতাবদ্ধ করেছিলেন অধিনায়ক। এমনটা জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘মাশরাফি ভাই একটি কথাই বলেছিলেন যে যুদ্ধে নামলে পেছনে তাকিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। যুদ্ধে নামলে গা বাঁচিয়ে চললে চলবে না। হয় মারবেন, নয় মরবেন।’
মুশফিক আরো যোগ করেন, ‘ভাইয়ের (মাশরাফি) বলা কথা দলের দারুণ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কারণ লড়াইয়ে নামলে আসলে দেখার সুযোগ নাই দলে কে আছে না আছে। এখানে আমাকে আমার শত ভাগটাই দিতে হবে। আমরা ফল নিয়ে চিন্তা না করে চেষ্টা করেছি শতভাগ দিতে। জানতাম সেটি দিতে পারলে আমরাই জিতব।’