

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ‘অলিখিত সেমিফাইনাল’ মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকের ৯৯, মিঠুনের ৬০ রানের ইনিংসে চড়ে ফাইনালে যেতে সেমিফাইনালে লড়াকু স্কোর পায় বাংলাদেশ। শুরুর বিপর্যয়ের অনুরুপ শেষে। হলো না বড় স্কোর। নির্ধারিত ওভারের আগেই সব’কটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২৩৯ রান।
দলের মূল স্পিনার ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ফিরে যান এক বছর পর ওয়ানডে দলে আসা সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত শূন্য রানেই ফেরেন তিনি। ১২ রানেই নেই বাংলাদেশের তিন উইকেট। খাদের কিনারা থেকে দলকে দারুণভাবে টেনে তুলেছেন মিঠুন-মুশফিক। কিন্তু মুশফিকুর রহিম নিজে ফিরলেন ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে। আউট হয়েছেন যে ৯৯ রানে। শেষদিকে বাংলাদেশও পড়ে যায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে। শেষ ৪৩ বলে বাংলাদেশ করে মাত্র ৪৩ রান, আর উইকেট বিতরণ করে ৫টি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রানেই নেই বাংলাদেশের তিন উইকেট টাইগারদের। সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জুনায়েদ খানের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ হয়েছেন সৌম্য সরকার। পাঁচ বলে শূন্য রান করেছেন তিনি। চতুর্থ ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়েছেন মুমিনুল হক। চার বলে পাঁচ রান করেছেন তিনি। পঞ্চম ওভারে জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হয়েছেন লিটন দাস। ১৬ বল খেলে ছয় রান করেছেন তিনি।
প্রথম পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে স্কোর সমৃদ্ধ করছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ১২৮ বলে ছুঁয়েছে জুটির সেঞ্চুরি। ১২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বেঁধেছিলেন এই দুজন। ফিফটি করেছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিমের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ মিথুন। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬০ রান। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশত।
গত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকলেও আজ সুবিধা করতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। দশ বলে নয় রান করে ফিরে গেলেন সাজঘরে। ইনিংসের ৩৭তম ওভারে শাদব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৬৭।
মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ফিরে গেলেন সাজঘরে। ৯ চারে ৯৯ রানের এই ইনিংসটি দলের রান সম্মানজনক অবস্থায় তুলতে সহায়ক হয়েছে। দলীয় ১৯৭ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ সাজঘরে ফিরেলেন ১১ বলে ১ চারে ১২ করে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস, তখন বাকি ৭ বল। ৪২ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট। এর মধ্যে শেষ দুই উইকেট পড়েছে ৪৯তম ওভারে পরপর দুই বলে। রুবেল হোসেন হয়েছেন রান আউট। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা (১৩)।
বল হাতে পাকিস্তানের জুনায়েদ খান সর্বোচ্চ ৪টি, ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। শাদাব খানের ঝুলিতে গেছে এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৩৯/১০ (৪৮.৫ ওভার) মুশফিক ৯৯, মিঠুন ৬০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিরাজ ১২, কায়েস ৯, লিটন ৬, মুমিনুল ৫; জুনায়েদ ৪/২০, শাহীন ২/৪৭, হাসান ২/৬০, শাদাব ১/৫২