

অন্তিম মুহূর্তে যেয়ে দুই রান, তিন রানে ম্যাচ হেরে আসার নজির নেহাতি কম নেই বাংলাদেশ দলের। নিয়মিত ঠেকে ঠেকে জমা করা সেই অভিজ্ঞয়ার সঞ্চয় দিয়েই ম্যাচের এমন সময়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ আফগানিস্তানের সাথে ৩ রানে ম্যাচ জিতে তাইতো বেশ ফুরফুরে মেজাজে টাইগাররা। এমন এক জয়ের ঠিক পূর্বমুহূর্তে দলে কেমন চিন্তা-ভাবনা চলছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে সেটাই খোলসা করলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। ক্রিজে তখনও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনবদ্য ব্যাটিং করে অর্ধশতক তুলে নেওয়া রাশিদ খানের সাথে সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বল তুলে দেন দলের সেরা বোলার মুস্তাফিজের হাতে। প্রথম বলেই স্লোয়ার দিলে সেখান থেকে দুই রান নেন রাশিদ। পরের বলেই মুস্তাফিজের কাটারে কাটা পড়ে ফেরেন রাশিদ।
এরপরতো আর কোন বলই প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লাগাতে দেননি মুস্তাফিজ। পায়ের পেশীতে টান নিয়েই এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে তাই বেশ রোমাঞ্চিত তিনি। সোমবার টিম হোটেলে বসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে শোনান আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তগুলোর কথা। এই বাঁহাতি পেসারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেষ ওভারের আগে আপনার ভাবনা কি ছিল? মুস্তাফিজ সোজাসাপটা জানিয়ে দেন তেমন কিছু ভাবেননি তিনি। বরং বেশি ভাবেননি বলেই জিতেছেন ম্যাচটা।
শেষ বলের আগে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে বা অন্য কিছু অধিনায়ক কি বলছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভাই (মাশরাফি) আমাকে বলেছে, তুই যেটা ভালো মনে করিস সেটা কর। আমি জাতীয় দলে খেললে সব সময় সিনিয়রদের দেখি। কি করলে, কোনটা নিলে, কোন জায়গায় ফিল্ডার নিলে ভালো হয়। আমি সেটাই বলেছিলাম। ভাইরা বলেছিল, এটাই ঠিক আছে।’
শেষ ওভারে বল হাতে নেওয়ার আগে জেতার ব্যাপারে বিশ্বাস কতটা ছিল? এর উত্তরে মুস্তাফিজ জানান, ‘গোল বলের কোনো বিশ্বাস নাই। ওপরওয়ালা সহায় থাকলে হবে। শেষ ওভারে কুড়ির ওপরে থাকলে ঠিক আছে। কিন্তু এর নিচে থাকলে গ্যারান্টি নেই। যে কোনো মুহূর্তে নিতে পারে। আমার চেষ্টা ছিল, নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। আর ভালো সময় গেছে। এই আর কী।’