

লিটন ও শান্তর শোচনীয় ব্যর্থতার কারণে এ দুজনকে জরুরি ভিত্তিতে দুবাই যাচ্ছেন সৌম্য ও ইমরুল। সুপার ফোরের বাকি দুটিতে জিততে পারলেই তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ মিলবে বাংলাদেশের। তাই এখনই বিচলিত হওয়ার পক্ষে নন সৌম্য সরকার। তিনি মনে করেন ম্যাচ দুটিকে ‘ডু অর ডাই’ বিবেচনা করে মাঠে নামলেই ফাইনালে খেলা সম্ভব।
সুপার ফোরের বাকি দুটিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই ব্যাস। তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ মিলবে। তবে এখনই দুই ম্যাচ না ভেবে শুধু আফগানিস্তানের ম্যাচটা নিয়ে ভাবছেন সৌম্য,
‘অবশ্যই এখনো সুযোগ আছে। টুর্নামেন্টে নক আউট পর্ব থাকে তখন কিন্তু হারলেই বাদ হতে হয়, এখন আমাদের সেভাবেই ভাবতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করলেই ভালো। আমার মনে হয় আমাদের আগামী ম্যাচকে কোয়ার্টার ফাইনাল ও পরের ম্যাচকে সেমি ফাইনাল হিসেবে ধরতে হবে।’
‘ওইভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তাই প্রথমে আফগানিস্তান ম্যাচ, এরপর পাকিস্তান…এভাবে চিন্তা করলে চাপ কম থাকবে।’
নতুন করে কঠিন এক পরীক্ষার মধ্যে পড়ে গেছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। টুর্নামেন্টের মাঝপথে গেলেও চিন্তামুক্ত থেকে খেলার জন্য সৌম্য মনে করছেন আফগানিস্তান ম্যাচটায় প্রথম ম্যাচ।
‘আমি যাচ্ছি যেহেতু, আমাকে ম্যাচটা টুর্নামেন্টে আমার প্রথম ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করতে হবে। সেভাবেই শুরু করব। আমি যদি অনেক কিছু চিন্তা করি, তাহলে আমি নিজেই বেশি চাপে পড়ব, মাথায় সেই জিনিসগুলোই বেশি ঘুরপাক খাবে। তাই ম্যাচটিকে টুর্নামেন্টে আমার প্রথম ম্যাচ হিসেবে খেলার চেষ্টা করব।’
হুট করে গিয়েই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে ভালো খেলাটা কঠিন হবে। তবে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া যে কোনো উপায়ও নেই, সেটি মানছেন সৌম্য।
‘যেহেতু নতুন একটা ওয়েদারে যাচ্ছি আবার সফরের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থায়। সুতরাং যত দ্রুত পারা যায়, মানিয়ে নিতে হবে। আর কোনো উপায়ও নেই, মানিয়ে নেয়া ছাড়া। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, ধরে নিতে হবে সব ঠিক আছে।’