

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে না পেরে একে একে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন সাকিব-মুশফিক’রা। উত্তপ্ত মরুর বুকে শেষদিকে উত্তেজনা ছড়িয়েছেন কেবল মিরাজ। নির্ধারিত ওভারের আগেই সব’কটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা ১৭৩ করেছে রান।
পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার চিত্রটা আজ দেখতে আশায় বুক বেঁধেছিলেন দুবাই স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো বাংলাদেশি দর্শক। আবারো ব্যর্থ লিটন, আজও ইনিংস বড় করতে পারলেন না শান্ত। আত্মাহুতি দিয়ে ফিরলেন সাকিব, মুশফিক। তবে শেষদিকে মাশরাফি-মিরাজের দুর্দান্ত জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অর্থাৎ আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই দুই উকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় টাইগাররা। আরো একবার ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন লিটন। প্রথম ম্যাচে শূন্য, দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানের পর আজ করলেন ৭। লিটন দাসের বিদায়ের চার বল পরেই ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই বুমরাহর বলে স্লিপে থাকা ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত।
রবীন্দ্র জাদেজার আগের দুই বলে মেরেছিলেন টানা দুই চার। যার শেষটা সুইপ করে। পরের বলে অযাচিতভাবে আবার সুইপ করতে গেলেন সাকিব আল হাসান। এবার ধরা পড়লেন স্কয়ার লেগে শিখর ধাওয়ানের হাতে। উইকেট ছুড়ে দিয়ে সাকিব আউট ৩ চারে ১৭ রানে। তখন ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে বাংলাদেশ দল।
দলীয় ৬০ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন মোহাম্মদ মিঠুন। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি। ১৯ বলে নয় রান করেন তিনি। একপ্রান্তে উইকেট পড়ছিল নিয়মিত বিরতিতেই। মুশফিকুর রহিমের কাঁধে ছিল বড় দায়িত্ব। কিন্তু দলীয় ৬৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটল বাংলাদেশের। রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হলেন ৪৫ বলে ২১ রান করা মুশফিকুর রহিম। শর্ট থার্ড ম্যানে যুজবেন্দ্র চাহালের হাতে ক্যাচ হন মুশফিক।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রিয়াদ। কিন্তু দলীয় ১০১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শেষ ভরসা। ৫১ বল খেলে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওই ১০১ রানেই মোসাদ্দেকের উইকেটও হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে জাদেজার চতুর্থ।
১০১ রানে ৭ উইকেট থেকে বাংলাদেশকে ‘অনেকখানিই’ টানলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৮ম উইকেটে ৬৬ রান, দুজন মিলে মারলেন চারটি ছয়। একসময় প্রবলভাবে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেল। ৩২ বলে ২ ছক্কায় মাশরাফি করেন ২৬। ৫০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় শেষ হয় মিরাজের ৫২ রানের দারুণ ইনিংস। ফলে নির্ধারিত ওভারের আগেই সব’কটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ১৭৩ রান।
বল হাতে রবীন্দ্র জাদেজা সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন। ভুবেনেশ্বর কুমার ও বুমরাহর শিকার ৩টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ১৭৩/১০ (৪৯.১ ওভার) রিয়াদ ২৫, মিরাজ ৪২, মাশরাফি ২৬, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিক ২১, সাকিব ১৭, মিঠুন ৯, লিটন ৭, শান্ত ৭; জাদেজা ৪/২৯, বুমরাহ ৩/৩৭, ভুবেনেশ্বর ৩/৩৩