

অবশেষে সত্য হলো এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) এর অভিষ্যৎবাণী টাই। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে রানার আপ করে সুপার ফোরের তালিকা সাজিয়েছিলো আগেই, এ নিয়ে সমালোচনাটাও কম হয়নি একদমই। তবে সব ছাপিয়ে আফগান জুজুটাই যেন পেয়ে বসেছে বাংলাদেশ দলের, নাহলে কি আর ম্যাচটা হারতে হয়েছে ১৩৬ রানে! রাশিদ-মুজিবদের কাছে এমনভাবে বিধ্বস্তের পর অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য দুষেছেন নিজের বোলিং বিভাগকে।
গতকালের ম্যাচের আগেই টুর্নামেন্টের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিলো দুই দলই, এই ম্যাচ জিতলে হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তবে টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ সেরা হলেও বাড়তি ফায়দা পাবে না কোন দলই। সেহিসাবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ তাই দু‘দলের জন্যই দাঁড়িয়ে ছিলো নিয়ম রক্ষার হিসাবে। কিন্তু নিয়মরক্ষা ম্যাচ হলেও সুপার ফোর রাইন্ড শুরু হওয়ার আগের দিন এই ম্যাচ হেরে নিজেদের মোমেন্টামটা একদমই হারাতে চাইনি বাংলাদেশ দল। তবে না চাইলেও হয়েছে যে তেমনটাই।
ম্যাচের শুরুতে দারুণ বল করে আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ৷ ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল টাইগারদের হাতেই। ১৬০ রানে আফগানদের ৭ উইকেট উপড়ে ম্যাচে তখন বাংলাদেশের দাপট। এরপরই রাশিদ খান আর গুলাবদিন নাইবের ব্যাটে বদলে যায় দৃশ্যপট। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করছেন ম্যাচের লাগাম হারিয়ে ফেলায় কাল হয়েছে এই সময়টাই।
শেষ ৫৫ বলে আফগানিস্তান তুলেছে ৯৫ রান, হারায়নি কোন উইকেট। শেষ পাঁচ ওভারে ৫৭ রান। ওইসময় তাণ্ডব চালিয়ে ৩২ বলে ৫৭ রান করে ফেলেন রাশিদ। নাইব অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে তাই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে প্রশ্ন করা হয়, কিছুটা গা ছাড়া ভাবেই কি অমন রান বিলিয়ে দেওয়া? অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন গুরুত্বহীন ম্যাচ হলেও জিততেই নেমেছিলেন তারা, ছিলেন ফোকাসডও। কিন্তু ডেথ ওভারেই আসলে সব তালগোল ফেলেছেন তারা, ‘আমার কাছে মনে হয় না ফোকাস কম ছিল। জিততেই চেয়েছিলাম আমরা। ৪০ ওভার পর্যন্ত আমরা ঠিকঠাকই ছিলাম। তার পর ওরা এগিয়ে গেছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় বোলিংয়ে মোমেন্টাম হারানোর পর তার প্রভাব পড়েছে ব্যাটিংয়েও, ক্রিকেটে আসলে এরকমটা হয়। ওইসময় যারা বল করেছি তাদের আরও দায়িত্ব নেওয়া দরকার ছিল।’