

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আবুধাবিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। বোলিংয়ে সাকিব-রনিরা শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেট জুটিতে নাইব ও রাশিদ খানের ৯৫ রানের পার্টনারশিপ দলের ভালো সংগ্রহের কারণ হয়। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি আফগানিস্তান। অভিষিক্ত রনির ২ উইকেট শিকারের দিন সাকিবের ঝুলিতে গেছে চারটি।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দুই দলের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এই ম্যাচের ফল অবশ্য সুপার ফোরে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে নিয়ম রক্ষার ম্যাচটা অবশ্য হারতে চায় না কোন দলই। এই ম্যাচের মাধ্যমে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আবু হায়দার রনির।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংসের শুরুটা হয় বেশ বাজে ভাবে। ইনিংসের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি। ইহসানুল্লাহ ও রহমত শাহকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ওভার বল করতে এসেই উইকেটের দেখা পান রনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আফগান ওপেনার ইহসানুল্লাহকে সাজঘরে ফেরান রনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে রনির এটি প্রথম উইকেট। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রহমত শাহকে বোল্ড করেন তিনি।
ইনিংসের ২০তম ওভারে প্রথমবারের মতো সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর বোলিংয়ে এসেই উইকেট শিকার করলেন টাইগার অলরাউন্ডার। ওভারের তৃতীয় বলে আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ হয়েছেন দারুণ খেলতে থাকা আফগানিস্তান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। তিনি করেছেন ৩৭ রান। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৭৯।
তারপর দারুণ এক ঘূর্ণিতে আফগান অধিনায়ক আসগর আফগানকে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। ৮ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। আবার আফগান শিবিরে আঘাত হেনেছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। ইনিংসে এটি সাকিবের তৃতীয় উইকেট। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৩৯।
ইনিংসের ৩৮তম ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান রুবেল হোসেন। হাশমতউল্লাহ শহীদি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫৮ রান করে আউট হন তিনি।
মোহাম্মদ নবীকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে চতুর্থ উইকেট শিকার করলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের শিকার হয়ে ফেরার আগে নবী করেছেন দশ রান। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গুলবদিন নাইব ও রাশিদ খান। ৩৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন গুলবদিন নাইব। ৩২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন রশীদ খান। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় অর্ধশত। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান।
বল হাতে সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন। রুবেল হোসেন ২টি ও আবু হায়দার রনির শিকার এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আফগানিস্তানঃ ২৫৫/৭ (৫০ ওভার) রাশিদ ৫৭*, নাইব ৪২*, শহীদি ৫৮, শাহজাদ ৩৭, সামিউল্লাহ ১৮, নবী ১০; সাকিব ৪/৪২, রনি ২/৫০, রুবেল ১/৩২