

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের বাজে আউটফিল্ডের কারণে বিসিবি আয়োজিত চারদিনের বিশেষ ম্যাচের প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল মাত্র দুই সেশন। আজ দ্বিতীয় দিনে এসেও নষ্ট হয়েছে সময়,বেড়েছে লাল দলের সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুলদের ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও মাঠে গড়ায়নি একটি বলও।
এর আগে খুলনার স্টেডিয়ামটির গ্রাউন্ডসম্যানরা জানিয়েছিলেন আজ সঠিক সময়ে খেলা শুরু হবে। তবে সকাল থেকে আম্পায়ার, কোচ কয়েক দফা মাঠ পরিদর্শন করে খেলা শুরু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

গতকাল খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের বাজে আউটফিল্ডের শিকার হচ্ছিলেন ফিল্ডিং করা দলের প্রায় প্রত্যেক খেলোয়াড়। এর মধ্যে সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহি ও সাইফ হাসান ইনজুরিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দু’দলের খেলোয়াড় ও কোচের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আম্পায়ার মাঠে খেলা বন্ধ করেন।
বিসিবি সবুজ দল (এইচপি) ও লাল দলের (‘এ’ দল) মধ্যকার এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সবুজ দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ইনিংসের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি ইমরুল কায়েসদের। দলীয় ২৮ রানে ৭ রান করা সাদমান ইসলামকে ফিরিয়েছিলেন আল-আমিন।
এরপর সবুজ দলের টপ-অর্ডারের কেউ’ই উইকেটে এসে ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে নামলেও উইকেটের অন্য প্রান্তে সচল ছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। করেন ফিফটি। ভালো খেলতে থাকা ইমরুলকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৯৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল।

তারপর ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গ দিতে আসেন মেহেদী হাসান। ৭ম উইকেট জুটিতে আবারও দলের হাল ধরেন সোহান ও মেহেদী। খুলনার এই দুই লোকাল বয় ৩১ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যে সোহান ২৮ রান ও মেহেদী ১৬ রানে অপরাজিত আছেন।
বিসিবি লাল দলের হয়ে তিনটি উইকেট নেন পেসার আল আমিন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ইফতেখার সাজ্জাদ, জুবায়ের হোসেন লিখন ও তাসকিন আহমেদ।