

এমনিতে এই ম্যাচের ফলাফল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পয়েন্ট তালিকার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেনি তবে ম্যাচটি জিতে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখলো কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ রানে হারিয়ে দিয়ে ৪ এ থাকা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
টসে জিতে নিজেদের মাঠ ওয়াংখেড়েতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলপতি রোহিত শর্মা। তবে সেই সিদ্ধান্ত অপছন্দ হয়নি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের। পাওয়ার-প্লেতে(১ম ছয় ওভার) মার্টিন গাপটিলকে হারিয়ে পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে তোলে ৭১ রান; যার অর্ধেকের বেশি(৩৬) আসে মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও তান্ডব চালান ঋদ্ধিমান সাহা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই দুজনের যুগলবন্দীতে রান আসে ৩০ বলে ৬৩। ২১ বলে ২টি চার ও ৫টি ছয়ে ৪৭ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহ’র বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েল ফিরে গেলেও রানের গতি কমে যেতে দেননি শন মার্শ, ঋদ্ধিমান সাহারা। শন মার্শ ১৬ বলে ২৫ করে আউট হলেও ৫৫ বল খেলে ১১টি চার ও ৩টি ছয়ে ৯৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋদ্ধিমান সাহা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রিতী জিনতা’র মালিকানাধীন দলটি স্কোরবোর্ডে তোলে ২৩০ রান।
২৩১ রান স্কোরবোর্ডে তুলে জিততে যেরকম শুরুর দরকার ছিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ঠিক সেরকম এক শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পার্থিব প্যাটেল ও লেন্ডল সিমন্স। তাদের দুজনের তান্ডবে ৮ ওভার ৫ বলেই স্কোরবোর্ডে ১০০ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় ফেরেন পার্থিব প্যাটেল। এরপর ২২ রানের মধ্যে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললে কক্ষপথ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে মুম্বাই। সেখান থেকে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান কাইরন পোলার্ড ও হার্ডিক পান্ডিয়া। দুজন মিলে ২১ বলে ৫৫ রান তুলে পুনরায় জয়ের আশা দেখান মুম্বাই সমর্থকদের। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মুম্বাই থামে ২২৩ রানে। পোলার্ডের অপরাজিত অর্ধশতক বিফলে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ২৩০/৩(২০), ঋদ্ধিমান সাহা ৯৩*, ম্যাক্সওয়েল ৪৭
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২২৩/৬(২০), সিমন্স ৫৯, পোলার্ড ৫০*
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৭ রানে জয়ী।