

কানের পাশ দিয়েই গুলিটা গিয়েছে মোহামেডানের বলতেই হচ্ছে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্যাট আর বল হাতে তাইজুল ইসলামের জাদুটা না দেখলে হয়তো বদলেও যেতো পারতো ম্যাচের ফলাফল। তবে আপাতত পারটেচের বিরুদ্ধে দুই উইকেটের ছোট্ট জয়েই সন্তুষ্টই থাকছে মোহামেডান।
সকালে টস জিতে পারটেক্স কাপ্তান ইরফান শুক্কুর সিদ্ধ্বান্ত নেন প্রথমে ব্যাট করার। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় লক্ষ্য গড়তে না পারলেও মোটামুটি আকারের পুঁজি সংগ্রহ করা পারটেক্সের ২২৯ রানের পেছনে সর্বোচ্চ ইনিংসটা আসে রাকিন আহমেদের ব্যাট থেকে। ৫৫ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকা রাকিনের পাশাপাশি অধিনায়ক ইরফানও করেন ৪৪ বলে ৪০ রান।
ওয়ান ডাউনে সাজ্জাদ হোসেনের ৩৬ রান সাথে সাজ্জাদুলের ২৪ আর মনিরুজ্জামানের ২৩ রানে দুশো রানের ঘর পার করে পারটেক্স। সাদা পোষাকে জাতীয় দল মাতানো কামরুল ইসলাম রাব্বী শিকার করেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। জাতীয় দলের আরেক তারকা তাইজুল ইসলামও তুলে নেন দুই উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে মোহামেডান। দ্রুতই প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে এসময় দায়িত্ব নিয়ে মোহামেডানের ইনিংসকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান আগের ম্যাচের রেকর্ড গড়া মোহামেডান দলপতি রকিবুল হাসান আর লঙ্কান চরিথ আসালঙ্কা। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৪৭ রান।
তবে এ দুজনের বিদায়ের পর জয়ের সুবাসটা বেশ ভালই টের পাচ্ছিল পারটেক্স। কিন্তু বল হাতে দুই উইকেট তুলে নেয়া তাইজুলের ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তায় জয়ের দেখা আর পায়নি পারটেক্স। লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে নিজের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়া তাইজুল অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে।
মোহামেডানের জয়সূচক রান এনে দেয়া ছয়টা ছাড়াও আরও একটি ছয় আর ৪ চার হাঁকিয়ে তাইজুল গড়েন ম্যাচজয়ী দুর্দান্ত ইনিংসটি ।ইমরান আলী এবং জাতিন সাক্সেনা দুজনেই ঝুলিতে পোরেন দুটি করে উইকেট।দলের দুই উইকেটের ম্যাচ জয়ের দিন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচটা তাই তাইজুল ইসলামই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পারটেক্সঃ ২২৯/১০ (৪৯.৩) রাকিন ৪৬*, শুক্কুর ৪০। কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩/৫৭, তাইজুল ইসলাম ২/৩৬
মোহামেডানঃ ২৩৪/৮ (৪৮.২ ওভার) তাইজুল ৫৭*, আসালঙ্কা ৪৭। ইমরান আলী ২/৩৬, সাক্সেনা ২/৩৬