

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন এবার, দর্শক পি-টি-য়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন ছয় মাস। শৃঙ্খলাজনিত কারণে শাস্তি পেয়েছেন বেশ কয়বার। তবুও যেনো কিছু এসে যাচ্ছেনা সাব্বির রহমানের। দেরাদুনে ড্রেসিংরুমে সতীর্থের সঙ্গে জড়ান বা-ক-বি-ত-ন্ডা-য় যেটা শারীরিক কোন্দল পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী। আর সেই কারণেই তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একাদশে জায়গা হয়নি সাব্বিরের।
ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ আজ (৯ জুন) সাব্বিরের বাদ পড়া নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য, যা কিনা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও সাব্বিরের জন্য ভালো কিছু নয়।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চলার সময় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে ধরা পড়ে, ড্রেসিংরুমে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে উ-ত্ত-প্ত বাক্যবিনিময় শুরু করেছেন সাব্বির। সেটা শেষ হয়েছে মা-রা-মা-রিতে। দেরাদুনে যাওয়া বোর্ডের এক কমর্কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘এটা তেমন বড় কোনও ইস্যু নয়, কেবল ভুল বোঝাবুঝি। এমনকি এই ঘটনা ম্যানেজারের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়নি।’
ধারণা করা হচ্ছে যেহেতু শৃঙ্খলা ভঙ্গের আরেকটি নতুন ঘটনা ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জন্য খারাপ ফলাফল বয়ে আনতে পারে বলে সেটা এড়িয়ে গিয়েছেন দলের সঙ্গে থাকা দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় লিগের এক ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এক কিশোর দর্শককে পি-টি-য়ে-ছি-লে-ন সাব্বির রহমান। সেই ঘটনার জেরে ছয় মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন তিনি। খেলতে পারেননি বিসিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
নিষিদ্ধ থাকাকালীন নিজের টেকনিক নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন সাব্বির- ‘বাইরে থাকাটা সবচেয়ে বড় বিষয় না। দুইমাস বাইরে ছিলাম, বিসিএল খেলতে পারিনি, মিস করেছি। প্রিমিয়ার লিগ মিস করেছি। এসময় নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। টেকনিকের কিছু ভুল ছিল, ওইগুলা নিয়ে কাজ করেছি। কিছু সময় বাইরে থাকাটাও ইতিবাচক মনে করি।’
যদিও দেরাদুনে আফগানদের বিপক্ষে সাব্বিরের ব্যাটে রান আসেনি। প্রস্তুতি ম্যাচে খারাপ করার পর প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়া সাব্বির পরের ম্যাচেও বিশ রানের গন্ডি পার করতে ব্যর্থ হন। শৃঙ্খলাজনিত কারণে তো সুযোগই পাননি তৃতীয় ম্যাচে খেলার।
সূত্র: ক্রিকবাজ