

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সফররত পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান দ্বিতীয় টেস্টে বার্বাডোজে জমে উঠেছে লড়াই। ক্যারিবীয়দের ৩১২ রানের বিপরীতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৩৯৩ রান। তৃতীয় দিন শেষে ৮১ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা পাকিস্তানের সংগ্রহটা হতে পারতো আরও বড়। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। মাত্র ৭৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ৩৯৩ রানে।
দিনের শুরুতে এদিন ক্যারিবীয় বোলাররা অসহায় ছিলেন পাকিস্তানী দুই ব্যাটসম্যান মিসবাহ উল হক আর আজহার আলীর সামনে। আগের দিনে বাব্র আজম আর ইউনিস খানকে কোন রান না করেই তুলে নেয়ার ফায়দাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিতে পারেনি এ দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
৯৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়ার মাঝপথেই নিজের ১৩তম টেস্ট শতক তুলে নেন আজহার। ২৭৮ বলে ৯ চারে সাজানো ছিল আজহারের ইনিংসটি। আজহারের বিদায়ের পর আসাদ শফিকের সঙ্গেও অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ৫৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন।
তবে বিদায়ী সিরিজ খেলতে নামা মিসবাহ বোধহয় নিজেকে দুর্ভাগাই ভাববেন। আবারও যে ফিরেছেন ৯৯ রানে। এ নিয়ে তিন তিনবার ৯৯ রানে ফিরে সাজঘরের রাস্তায় হাঁটলেন মিসবাহ যা কিনা ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র। তবে এমন রেকর্ডে নিশ্চয়ই স্বস্তি পাবেন না ২০১ বলে ৯ চার আর ২ ছয়ে ৯৯ রান করা মিসবাহ।
তবে এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানেরা। তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে শেষ পাঁচ উইকেটের পতন ঘটে মাত্র ৭৭ রান। ফলে পাকিস্তান গুটিয়ে ৩৯৩ রানে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল শিকার করেন সর্বোচ্চ চার উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানে কায়রন পাওয়াল ফিরে গেলেও দিনের বাকী সময়টা নিরাপদেই কাটিয়ে দেন ব্র্যাটওয়েট এবং হেটমেয়ার। সিরিজে ১-০ এগিয়ে আছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে):
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১২ (প্রথম ইনিংস) এবং ৪০/১ (১৪ ওভার) হেটমেয়ার ২২*, ব্র্যাটওয়েট ৮*/ মোহাম্মাদ আব্বাস ১/১৪
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস) ৩৯৩/১০ (১৪০ ওভার) আজহার ১০৫, মিসবাহ ৯৯, সেহজাদ ৭০। গ্যাব্রিয়েল ৪/৮১, হোল্ডার ৩/৪২