

দলে নেই ভিরাট কোহলি, মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ভুবনেশ্বর কুমার, হার্ডিক পান্ডিয়া, জাসপ্রীত বুমরাহর মতো ক্রিকেটাররা। তবুও চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ভারতকেই ফেভারিট মেনেছিলেন নিদাহাস ট্রফিতে। সেই হিসাবে খর্বশক্তির ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ সূচনা করেছে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ভারতকে ব্যাটিং করবার জন্য আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান দলপতি দীনেশ চান্দিমাল। এই সিরিজে ভিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া রোহিত শর্মা ১ম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন কোন রান না করেই। ২য় ওভারের শেষ বলে ১ রান করে রোহিত শর্মাকে অনুসরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দারুণ ভাবে প্রত্যাবর্তন করা সুরেশ রায়না। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত।
৩য় উইকেট জুটিতে মনীশ পান্ডেকে সাথে নিয়ে পালটা আক্রমণ চালান ‘গাব্বার’ নামে খ্যাত শিখর ধাওয়ান। ৬৪ বল একসঙ্গে উইকেটে থেকে এই দুজন রান তোলেন ৯৫। ৩ টি চার ও ১ টি ছয়ে ৩৫ বলে ৩৭ রান করে মনীশ পান্ডে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর রিশাব পান্টের সঙ্গেও ৩২ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। সেঞ্চুরির খুব কাছে যেয়ে ৯০ রান করে আউট হন ধাওয়ান। ৪৯ বল স্থায়ী ধাওয়ানের ইনিংসে ছিল ৬ টি করে চার ও ছক্কা।
শেষদিকে দীনেশ কার্তিকের ৬ বলে অপরাজিত ১৩ রানের ছোটখাট ক্যামিওতে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ভারত স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৭৪ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমান্থা চামিরা সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট নেন। সমান ১ টি করে উইকেট পান নুয়ান প্রদীপ, জীবন মেন্ডিস ও ধানুশকা গুনাথিলাকা।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটাও ভাল হয়নি। ২য় ওভারেই ১১ রান করে আউট হন কুশল মেন্ডিস। তবে ঐ অব্দিই, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লঙ্কানদের। তিনে নামা কুশল জেনিত পেরেরাই খেলার চালচিত্র বদলে দেন। প্রেমাদাসায় পেরেরা ঝড় দেখে গোটা বিশ্ব। ৪র্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরেরা যখন আউট হন দলের রান তখন ১২৭। পেরেরার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৬৬ রান, যা তিনি করেন ৩৭ বলে ৬ টি চার ও ৪ টি ছয়ের সাহায্যে।
কুশল পেরেরার বিদায়ের পর বাকি কাজ সহজেই সেরেছেন উপুল থারাঙ্গা (১৭), দাসুন শানাকা (১৫*) ও থিসারা পেরেরা (১০ বলে অপরাজিত ২২)। ৯ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে লঙ্কানরা।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যা একটু উজ্জ্বল ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ২৮ রান খরচে ২ উইকেট পান তিনি। ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৩৭ রান দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। সবচেয়ে হতশ্রী ছিল শারদুল ঠাকুরের বোলিং ফিগার (৩.৩-০-৪২-০)।
দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কুশল পেরেরা। নিদাহাস ট্রফিতে পরবর্তী ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার। একই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।