

একটি মুক্তিযুদ্ধ, হাজারো আত্মত্যাগ আর একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এই প্রজন্ম কতটুকু জানছে? তাইতো এই প্রজন্মের কাছে মাশরাফির দাবি দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চর্চা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাশরাফির আহবান অযথা ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ‘নষ্ট’ না করে দৈনিক এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানা।
যাত্রা শুরু হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে ‘প্রজেক্ট লন্ডন-১৯৭১’ নামে একটি সংগঠেনের। সেই সংঠনের আয়োজনে ‘কুইজে একাত্তর’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে এসে মাশরাফি মুক্তিযুদ্ধ চর্চায় তরুণদের নানা পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থিত অনেক তরুণকে মুঠোফোনে ব্যস্ত দেখে মাশরাফি বলেন, “গোটা বাংলাদেশ এখন মোবাইলে ঢুকে গেছে। এখন যদি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করি, আপনারা মোবাইল বের করে উত্তর খুঁজবেন। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এটা বড় দুঃখজনক।”
মাশরাফি জানান তিনি এখনো মুক্তিযুদ্ধকে জানার চেষ্টা করেন। সময় পেলে বই, পত্রিকা, টিভি বা সিনেমা দেখে মুক্তিযুদ্ধ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “পড়ালেখা, ব্যবসা বা আমার খেলাধুলা, যাই বলি না কেন, প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সময় বের করতে পারব না, এটা কিন্তু আমরা বলতে পারব না। ১৫-২০ দিন টানা একটু একটু করে জানুন মুক্তিযুদ্ধকে। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিন। দেখবেন একদিন সবার মনে একটা আবেগের জায়গা তৈরি হয়েছে।”
“এরা কেন মুক্তিযুদ্ধকে জানে না, তা ফাইন্ড আউট করুন। পরিবারকে, স্কুলকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। যারা কিছু জানে না, তাদের নিয়ে এভাবে নিউজ করাও কিন্তু আমাদের জন্য সম্মানজনক কিছু নয়।”
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে তিনি বলেন, “আজকে যাদের কারণে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের সবসময় আলাদা করে সম্মান করা উচিৎ। তারা সব আলোচনার উর্ধ্বে।”
আলোচনার এক পর্যায়ে মাশরাফি তার দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেন, “আমার সন্তানরা কিন্তু আপনাদের মতো তরুণদের কাছ থেকেই মুক্তিযুদ্ধের কথা জানবে। এমনকি আমিও হয়ত আপনাদের কাছ থেকে নতুন কিছু শিখব। নতুন প্রজন্মকে একাত্তরের বীর সেনাদের সম্পর্কে বলতে, আপনাদের আরো অনেক জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে।”