

সম্প্রতি ফর্ম বিবেচনাতে সময়টা একেবারেই সুখকর যাচ্ছে টিম বাংলাদেশের জন্য। মাঠের সাথে মাঠের বাইরের নানান বিতর্কে জর্জরিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই আবার সামনে আসছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসর নিদাহাস ট্রফি, সেই টুর্নামেন্ট খেলতে রবিবার লঙ্কা বিমান ধরার আগে তাই নিজেদেরকে শেষ বারের মত ঝালিয়ে নিচ্ছে ক্রিকেটাররা। সেখানেই দলের ওপেনার সৌম্য জানালেন কুঁড়ি ওভারের ক্রিকেটে দু’শো ছাড়ানো ইনিংস খেলার সামর্থ আছে বাংলাদেশের।
অন্য দুই ফরম্যাটে টাইগাররা ক্রমশ সাফল্য পেলেও টি-টোয়েন্টি জুজু’টা যেন পেয়ে বসেছে তাদের! কোন ভাবেই যেন সাফল্য ধরা দিতে চাচ্ছে না এই ফরম্যাটটাতে। কুঁড়ি ওভারের এই ক্রিকেটে এখন হরহামেশায় দেখা যাচ্ছে দু’শো রানের ইনিংস। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য সেটি এখনো রয়ে গেছে অধরা। ৭১টি টি-টোয়েন্টি খেলা হয়ে গেছে এরই মধ্যে, তবে এখনও ধরা দেয়নি ২০০ রানের ইনিংস। শ্রীলঙ্কারর সাথে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটাতে এসেছিল ১৯৩ রান, যা এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ।
তবে আসছে নিদাহাস ট্রফিতে সেই বন্ধাত্ব ঘুচাতে চান জানিয়ে দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সম্প্রতি আমরা ১৯০ (১৯৩) করেছি। শেষের দিকে তেমন রান না পাওয়ার পরেও এই রান হয়েছিল। আমরা যদি শুরু থেকে কিছু রান করতে পারি এবং মাঝখানেও রান আসে, সেই সাথে দলের বিগ হিটাররা যদি দারুন কিছু ইনিংস খেলে তাহলে আশা করি দু’শোর বেশি রান করতে পারব আমরা। প্রথম ইনিংসে হোক বা দ্বিতীয় ইনিংসে, দুইশত রান করার ক্ষমতা আছে আমাদের।’
দলীয় রান দু’শোর কোটা পার করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে ভাবনাটা এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের বর্তমান ফর্ম! দু’শো করলেও টুর্নামেন্টের বাকি দুই দল এই ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আশার জায়গা খুব বেশি বড় করা যায় না।
তবে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সৌম্য বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের অতীত দেখি তাহলে আগেই আমরা পিছিয়ে পড়ব। সেটি করার প্রয়োজন দেখি না এখন। আমি মনে করি, ওখানে যারা ভালো খেলবে তারাই জয়ী হবে। ওই সময়ে যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে জিতব। কে কোথায় আছি, সেটা আগেই চিন্তা করলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। সেটা চিন্তা না করে কিভাবে নিজেদের কাজটা ভালো করতে পারি, সেটা নিয়েই চিন্তা করছি আমরা’