

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিয়েছেন খুব বেশি দিন হয়নি। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অভিষেকের পর পরই ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অন্য উচ্চতায়। তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণদের একজন ধরা হচ্ছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের সংকটের সমাধানও খোজা হচ্ছিল তার মধ্যে। হঠাৎ চোখের একটা ইনফেকশনে ছেদ পড়ল মোসাদ্দেকের, কাল হলো সেইটায়। তাকে নিয়ে বলতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন এখনো ছন্দে ফেরেনি সৈকত।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন বড় বড় সব ইনিংস, তবে এবার ছন্দে নেই একদম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে খেলছেন আবাহনীর হয়ে। আকাশী-নীলদের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ মাঠে নেমে ফিফটি পাননি একটিও। চোখে ইনফেকশন থেকে ফেরার পর চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানো ব্যাটিং করেছিলেন সৈকত, তবুও জায়গা হারিয়েছেন পরের টেস্টেই। সেই সিরিজের পর লঙ্কানদের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরজেও ছিলেন না এই অলরাউন্ডার।
সেই সিরিজের সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি আবার ডিপিএলে সৈকতের দলের প্রধান কোচও। তাই সৈকতের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে যেয়ে সুজন জানান, ‘সত্যি কথা বলতে গত দুই বছর ধরে সৈকতকে যেভাবে দেখেছি, এখন সেরকম ছন্দ ফিরে পাইনি। রান করেছে, দু’ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ইনিংস খেলেছে। তবে সেরকম ছন্দে ফেরেনি এখনো।’
শুধু সৈকতের ফর্ম না, তার ব্যাটিংয়ের সাথে আত্মবিশ্বাস এবং অনুশীলনেও অনেক ঘাটতি দেখছেন সুজন। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটু অনুশীলনের ঘাটতি আছে ওর (সৈকতের), মাঝে শরীর খারাপ ছিল। দুই বছর আগেও কথা বলার সময় ও নিজে থেকেই বলত ম্যাচ জিতিয়ে আনব। তখন আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো ছিল। তবে সবারই একটা ভালো বা খারাপ সময়ের মধ্য দিতে যেতে হয়। আমার মনে হয় সে দারুণ খেলোয়াড়, খুব শিগগিরই ফিরে পাবে নিজেকে।’