

দলের বিপদে বুক চিতিয়ে খেললেন ক্যারিয়ারের সেরা ব্যাটিং কিন্তু সেটি ঢাকা মাইশুকুরের অনবদ্য চোখ জুড়ানো ব্যাটিংয়ে। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে একাই টেনে তুললেন শুভাগত হোম চৌধুরী। ডিপিএলের আজকের ম্যাচে শাইনপুকুরের হয়ে পেয়ে গেলেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। কিন্তু দিন শেষে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে হারের হতাশা নিয়ে।
বিরতির পর আবার শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা। আজকের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে ব্রাদার্স। শাইনপুকুরের দেওয়া ২৮৮ রানের টার্গেট ৫ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। ১৯তম ওভারে ৬৭ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
আফিফের সাথে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শুভাগত। আফিফ ৭৭ বলে ৬৮ রান করে।
আফিফ আউট হলেও শুভাগত তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে দলের রান নিয়ে যায় তিনশ রানের কাছাকাছি। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি করেন ১১৬ রান। দলের রান দাঁড়ায় ২৮৮।
২৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিজানুর রহমানের সঙ্গে ৫৪ ও জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে ব্রাদার্স কে ম্যাচে রাখেন। ১০৭ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৮ রান করে আউট হন। বাকি কাজ সারেন ভারতীয় রিক্রুট দেবব্রত। শেষ ১৩ ওভারে ব্রাদার্সের দরকার ছিল ১০৫ রান। দেবব্রত ও ইয়াসিরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ওই রান ছুঁয়ে ফেলে ব্রাদার্স। ৬০ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৫ রান করে ফিরে যান দেবব্রত। ৩৪ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ব্রাদার্স ইউনিয়ন জয় পায় ৫ উইকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৮৮/৮ ; সাদমান ৪, সাব্বির ১৮, কাউল ১৯, হৃদয় ১৩, আফিফ ৬৮, শুভাগত ১১৬, মিনহাজ ২৪, খালেদ ২/৫৭, রানা ১/৪৬, ইফতেখার ১/২১, শুভ ৩/৬৮, শাখাওয়াত ১/৫২
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৯.১ ওভারে ২৮৯/৫; মিজানুর ৩৭, মাইশুকুর ৮৮, জুনায়েদ ৩১, দেবব্রত ৭৫, ইয়াসির ৪৫*; সাইফ ১/৪৮, সুজন ১/৩৯, রায়হান ২/৪৯, আফিফ ১/৩২
ফলাফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ মাইশুকুর রহমান