

জাতীয় দলের সূচির কারনে এতোদিন ধরে ডিপিএলের ম্যাচগুলা চলছিল বিকেএসপি ও ফতুল্লাতে ভাগ করে। গতকালকেই শেষ হয়েছে সেই ব্যস্ততা, সাথে সাথেই ডিপিএল ফিরেছে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে। সেখানেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক’কে ১৫৯ রানে পরাজিত করে এবারের টুর্নামেন্ট নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকালে টসে জিতে মোহামেডানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। মোহামেডানের হয়ে এদিন ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই তালুকদার জনি ও রনি। দলীয় ৭১ রানে ২৬ রানে থাকা রনি সৌম্যর বলে আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি।
তারপর ৮ রানের মধ্যেই সাদাকালোদের অধিনায়ক শামসুর রহমানের সাথে জনিও আউট হয়ে গেলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডান। ১২১ রানে চার উইকেট হারানোর পর রাকিবুল ও ইরফান শুক্কুরের জুটিতে আসে ১১২ রান। রাকিবুলের ৭৭ রানে বিদায়ের পর দলের একমাত্র বিদেশি বিপুল শার্মাকে নিয়ে দলের রান তিনশোর কোটা পার করেন শুক্কুর। নিজে ফেরেন ৯২ করে। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩৩৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় মোহামেডান।
৩৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৫৭ রানেই শুরুর চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে অগ্রণী ব্যাংক। গতকাল শ্রীলঙ্কার সাথে শেষ টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হওয়া সৌম্য আজকেও ফিরেছেন কোন রান না করেই! এরপর সালমান-ধিমানের ৫৩ রানে পার্টনারশিপে কিছুটা আশা জাগালেও ধিমান ৪০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ফিকে হয়ে যায় সেইটাও।
এরপর জাহিদ, রাজ্জা, সাইফুলরা সেট হয়েও আউট হয়ে যাওয়াতে মাত্র ১৭৬ রানেই থামে অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংস। ফলে ১৫৯ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবঃ ৩৩৫/৭ (৫০ ওভার) ইরফান শুক্কুর ৯২, রাকিবুল হাসান ৭৭, জনি তালুকদার ৪৩, বিপুল শার্মা ৪১, সৌম্য সরকার ২/৩২, আল-আমিন হোসেন ২/৭০, আব্দুর রাজ্জাক ২/৭২
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবঃ ১৭৬/১০ (৩৭.৪ ওভার) ধিমান ঘোষ ৪০, আব্দুর রাজ্জাক ২৩, রাফাতুল্লাহ ২২, বিপুল শর্মা ২/২২, শুভাশিস রয় ২/২৯, এনামুল হক ২/৩৫
ফলাফলঃ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১৫৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ইরফান শুক্কুর (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব)