

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা ছিল, বোলারদের জন্য ছিলনা কোন সুবিধা। সেই কারণে ‘বিলো এভারেজ’ রায় জুটেছিল পিচের কপালে। ঢাকা টেস্টের পিচের বেলায় ঘটনা উল্টো, তবে ফলাফল একই। বোলারদের জন্য বেশি সুবিধা থাকা ঢাকা টেস্টের পিচও ‘বিলো এভারেজ’ রায় পেয়েছে আইসিসি থেকে, সাথে জুটেছে ১ ডিমেরিট পয়েন্টও।
আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। চট্টগ্রাম টেস্টের ন্যায় ঢাকা টেস্টেও ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে ডেভিড বুন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ‘প্রথম দিন থেকেই বল পিচের সমতল ভূমি ভেঙে ফেলছিল এমন প্রমাণ মিলেছে। যার কারণে পুরো ম্যাচ জুড়েই অসমান বাউন্স দেখা গেছে। এছাড়া অধারাবাহিক টার্নও ছিল, যেটা মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত হয়েছে। ঐ পিচ এমন একটা প্রতিযোগিতা উপহার দিয়েছে যেখানে শুধু বোলাররাই উপকৃত হয়েছে। এবং ব্যাটসম্যানদের স্কিল দেখানোর সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি।’
ঢাকা টেস্টে টসে জিতে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা তিন দিনের মধ্যেই জিতেছিল ২১৫ রানে। তিন দিনের কম সময়ে ঢাকা টেস্টে পতন হয়েছিল ৪০ উইকেটের, রান হয়েছিল ৬৮১। রোশেন সিলভার অপরাজিত ৭০ রান ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
শের-ই-বাংলার পিচ যে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে তা বলবৎ থাকবে আগামী ৫ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে এই স্টেডিয়ামের উইকেট মোট ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ১২ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়াবেনা এই স্টেডিয়ামে। প্রসঙ্গত, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের আউটফিল্ড ক্রিকেট মাঠের জন্য আদর্শ বিবেচিত না হওয়ায় দুই ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল হোম অব ক্রিকেট।