

ট্রান্স তাসমান টি টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ১ ম্যাচ জিতে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ডও, তাই সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিলোনা ইংল্যান্ডের। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ১২ রানে হেরে সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলো ইংল্যান্ড, দুই ম্যাচ আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হল কিউইদের।
ওয়েলিংটনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও অধিনায়ক উইলিয়ামসনের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান।
৩৯ রানে ওপেনার কলিন মুনরো বিদায় নিলে অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের পথ দেখান গাপটিল। আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে নিজের ১৩ তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে আউট হন ১২১ রানের মাথায়। আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। গাপটিলের বিদায়ের পরের বলেই শুন্য রানেই গ্র্যান্ডহোমকে আউট করে হ্যাটট্রিক এর সম্ভাবনা জাগান আদিল রশিদ। তেমনটি হয়নি, বরঙ মার্ক চ্যাপম্যান ও টিম সেইফার্ট কে নিয়ে বড় সংগ্রহই করেন উইলিয়ামসন।
৪৫ বলে সমান ৪ টি করে চার, ছক্কায় ৭২ করেন উইলিয়ামসন। টি টোয়েন্টিতে এটি তার ৮ম অর্ধ শতক। এ ম্যাচে হংকংয়ের হয়ে খেলা মার্ক চ্যাপম্যানের নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়, ফলে দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে খেলার স্বাদ পান চ্যাপম্যান। মার্ক উডের বলে আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে দুই ছক্কায় ২০ রান করেন চ্যাপম্যান। সেইফার্ট ৬ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ও মার্ক উদ দুটি এবং ক্রিস জর্ডান একটি উইকেট নেন।
১৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরুই করেছিল ইংল্যান্ড, শুরুতেই জেসন রয়ের উইকেট হারালেও ডেভিড মালান কে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলে ফেলেন এলেক্স হেলস। ২য় উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন মাত্র ৩৮ বলে ৬৫ রান। ৭৯ রানের মাথায় মাত্র ২৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ করে আউট হন হেলস।
হেলসের বিদায়ের পর একাই লড়াই চালিয়ে যান মালান, চার ম্যাচের ছোট্ট টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তুলে নেন ৩য় অর্ধশতকও, ৪০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৯ রান। কিন্তু অন্য পাশে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংলিশ শিবির। এছাড়া উইলি ২১ ও বিলিংস ১২ রান করেন। ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামে ১৮৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট, সোধি ও স্যান্টনার দুটি এবং টিম সাউদি একটি উইকেট নেন। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন কেন উইলিয়ামসন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নিউজিল্যান্ড ১৯৬/৫(২০), গাপটিল ৬৫, মুনরো ১১, উইলিয়ামসন ৭২, গ্র্যান্ডহোম ০, চ্যাপম্যান ২০, রস টেলর ১, সেফার্ট ১৪
উইলি ৩৬/০, উড ৫১/২, জর্ডান ৩৪/১, প্লাঙ্কেট ৩৩/০, রশিদ ৩৬/২
ইংল্যান্ডঃ ১৮৪/৯(২০), রয় ৮, হেলস ৪৭, মালান ৫৯, ভিন্স ১০, বাটলার ১২, উইলি ২১, জর্ডান ৬, প্লাঙ্কেট ০, রশিদ ৮, উড ৫
বোল্ট ৪৬/২, স্যান্টনার ২৯/২, সাউদি ৩০/১, সোধি ৪৯/২, মুনরো ১১/০, গ্র্যান্ডহোম ১৫/০