

লঙ্কানদের সাথে ঢাকা টেস্টের পর সমর্থকরা বেজায় চটেছে টাইগার ক্রিকেটের উপর। ক্রিকেটারদের সাথে আঙ্গুল উঠছে দলের নীতিনির্ধারকদের উপরও। ম্যাচের দুই দিন অতিবাহিত হলেও রেশ কটছে না এখনো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তামিম-রিয়াদদের সমালোচনা চলছেই। সাথে বাদ যাচ্ছেন না দলের দলের কোচ, নির্বাচকেরাও। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
টিম ম্যানেজমেন্ট দলকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি বলেই নাকি শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের এমন হাতাশাজনক পরাজয়। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের বাজে পারফরম্যান্স দেখে টাইগার সমর্থকরা তাদের ফেইসবুকে নাকি বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকে ছাড়েননি লাঞ্ছিত করতে। আজ (সোমবার) মিরপুর স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাই দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে সেসব কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরলেন সুজন।
এবিষয়ে সুজন বলেন, ‘আমার পিছে যদি কেউ লেগে থাকে আমি ভালো করলেও কোনদিনও ভালোটা স্বীকার করবে না। আমি সুজন দলের জন্য এতকিছু করছি কোনো দিন শুনি নাই আমি ভালো কিছু করছি। খারাপই করছি সবসময়। সোশাল-মিডিয়া বা মিডিয়া বলেন! আমি এও শুনেছি রাস্তায় গেলে আমাকে মারও খেতে হতে পারে। ক্রিকেট খেলার জন্য রাস্তায় গিয়ে মার খেতে হয় এটা খুবই অকওয়ার্ড একটা ব্যাপার।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমি হয়তোবা বাংলাদেশর জন্য ভালো কিছু করছি না। যদি ভালো কিছু না করি তাহলে এখানে থাকা দরকারটা কি ? আমি তো এখানে কোনো স্বার্থের জন্য আসিনি। আমি যা আছি আমার জীবনে খুব ভালো আছি। খুবই হ্যাপি। আমি যে চাকরি করি, যতটুকু পাই, যেভাবে চলি, কোয়াইট হ্যাপি।’
সুজন এদিন ছাড়েননি টাইগার ক্রিকেটারদেরও, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিজের। তিনি বলেন, ‘এমন কি আছে শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা খেলতে পারবো না? ব্যাটিং লাইনআপ যদি দেখেন দের। মেন্ডিস-ধনাঞ্জয়ারা কয়টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে? আমাদের স্পিনার নেই। তবে আপনারা বলতে পারেন আমাদের সাকিব নেই, তবে আমাদের রাজ্জাক ৫০০ উইকেট পাওয়া ফার্স্ট ক্লাস বোলার। কিভাবে বলবো অভিজ্ঞতা নেই? আপনারা তাইজুলকে যদি দেখেন। আকিলা ফার্স্ট টেস্ট ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নিলো। তাইজুল তো আরও বেশি খেলতেছে। মিরাজ ইংল্যান্ডের সাথে ১৯ উইকেট নিয়েছে। আমরা কিভাবে বলবো আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।’
তিনি আরো যোগ করে জানান, ‘আমরা কেউ এই জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। শ্রীলঙ্কা কী গড? ওদের প্লেয়ারর কী গড? ওরা কি স্টিভ স্মিথ? বা এরকম কিছু যে ২শ’ টেস্ট ম্যাচ খেলা প্লেয়ার। কেন এগুলো চিন্তা করি না আমাদেরে প্লেয়াররাই ভুল খেলেছে।’