

ক্রিকেটে দারুণ এক ককটেল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে জিম্বাবুয়ের ক্রমাগত অধঃপতন ও আফগানিস্তানের উন্নতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে শারজাহতে। জিম্বাবুয়েকে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে কবছর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে পরিচিত হওয়া আফগানিস্তান। শুধু তাইই নয় এই জয়ে শ্রীলঙ্কাকে টপকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের আটে উঠেছে তারা।
শারজাহ তে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। ব্যাটে নেমে একটু ধীর গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও কারিম সাদিক। ৪র্থ ওভারের ৪র্থ বলে যখন শেহজাদ ১৭ রান করে আউট হন দলের রান তখন ১৯।
দুই নম্বরে নেমে রানের গতি বাড়াতে সচেষ্ট হন আফগান দলপতি আজগর স্টানিকজাই। ১৪ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ রান করে অধিনায়কের বলে বোল্ড হন আজগর। কারিম সাদিকের উইকেটে পড়ে থাকার চেষ্টা শেষ হয়েছে ক্রেমারের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে। ৩০ বলে ২৮ রান করে থামেন তিনি।
খেলার চালচিত্র বদলে যায় কারিম সাদিকের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নবি ও নাজিবউল্লাহ জাদরান জুটি বাঁধলে। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫১ রান। ১৮ বলে ৪ চারে ২৪ রান করে আউট হন নাজিবউল্লাহ জাদরান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে থামেন মোহাম্মদ নবি। ২৬ বলের ইনিংসে নবি হাঁকান ২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা।
এমন দুই ইনিংসের পরেও আফগানিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ দুই ওভারে করতে পারে মাত্র ৩ রান। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলার পর শেষ হয় নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন টেণ্ডাই চাতারা, ২ টি করে উইকেট নেন কাইল জার্ভিস, ব্লেসিং মুজারাবানি ও গ্রায়েম ক্রেমার।
বল হাতে নিয়েই দলকে দারুণ এক সূচনা এনে দেন ১৭ ছুঁইছুঁই মুজিব জাদরান। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড করেন ২ রান করা সলোমন মিরেকে। মিরের সঙ্গী হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামা হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে অধিনায়ক আজগরের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মুজিব। ব্রেন্ডন টেলরকে ১৫ রানের বেশি করতে দেননি মোহাম্মদ নবি।
খেলা বদলে দিতে ৪র্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তবে এই দুই জনকেই ফিরিয়ে দলের জয়ের আশা পোক্ত করেন রাশিদ খান। ২৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন সিকান্দার রাজা। ৩০ বল খেলে বলের সমান ৩০ করে থামতে হয় রায়ান বার্লের। শেষ ১০ বলে জিম্বাবুয়ে কোন উইকেট না হারালেও আফগানদের ১৫৮ রানের বিপরীতে থামে ১৪১ এ।
১৭ রানের জয়ে আফগানদের হয়ে বল হাতে অবদান রাখা তিন বোলারই স্পিনার। জিম্বাবুয়ের পতন হওয়া ৫ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন মুজিব জাদরান (২/২১), রাশিদ খান (২/২৩) ও মোহাম্মদ নবি (১/২৪)।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ নবি ( ৪৫ রান ও ১ উইকেট )।