

বৃষ্টি বা বৈরি আবাহাওয়া যে কারণেই খেলা বন্ধ হোক না কেন, তার মিমাংসা করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে। এবার ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রয়োগে ভুল ধরলেন এই পদ্ধতির প্রবর্তক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস। ক্রিকেটের জনপ্রিয় এক ওয়েবসাইটের সাথে আলাপ কালে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি হিসাবে ভুল ছিলো বলে দাবি করেন।
গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির ভুল সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিলো এমন দাবি করে ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস বলেন,
“চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া হিসেব অনুযায়ী জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই সেমিফাইনালে বাংলাদেশ নয়, অস্ট্রেলিয়ার উঠে যাওয়ার কথা। আসরে বাংলাদেশ সেমি ফাইনালে যাওয়াটা ছিল হিসেবের ভুল।”
গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে মাত্র ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৬ ওভারে এক উইকেটে ৮৩ রান করার পর বৃষ্টি নামে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলা শুরু করা যেতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কারণ ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী কমপক্ষে ২০ ওভার খেলা না হলে ম্যাচটি হিসেবের মধ্যে আসবে না অর্থাৎ পরিত্যক্ত হবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হিসাব কেন ভুল ছিল সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস।
তারা পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ ৩৪ ওভার থেকে সর্বনিম্ন ২২ ওভার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যের হিসাব ব্যাখ্যা করেন। যেখানে দেখা যায় ম্যাচটি ২২ ওভার হলে লক্ষ্য দাড়ায় ৭৯ রান, যা তখনই পার করে ফেলেছিল অজিরা।
ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস বলেন, “বৃষ্টির জন্য লক্ষ্য বার বার পরিবর্তিত হচ্ছিল, সেটা প্রতি ওভারেই। ম্যাচটা ৩০ ওভারে নেমে আসলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হতো ১২০। আর সেটা ২২ ওভারে নেমে আসলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য হতো ৭৯, যা তখনই অস্ট্রেলিয়া পার করে ফেলেছিল।
আর ম্যাচটা ২২ ওভারে নেমে আসার যে সময় সেটা কাট অফের আগেই ছিল। অর্থাৎ রাত ৯টা ৫১ মিনিটের সময় দুই আম্পায়ার যদি বৃষ্টির খোঁজ না নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তিত লক্ষ্যের হিসেব নিতেন তাহলেই অস্ট্রেলিয়া জয়ী হতো।”
সেই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেলেও বাংলাদেশ পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।