

মাশরাফি নামটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে অনুপ্রেরণা, মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে যে কাউকেই মুহুর্তেই করে দিতে পারেন চাঙ্গা। হতাশায় ডুবে থাকা একটা দলকে অসাধারণ নেতৃত্বগুণে দাঁড় করিয়েছেন আত্ববিশ্বাসী এক দলে যারা নিজেদের দিনে হারাতে পারে যেকোন দলকে।
আগামী জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর, আগামী ২৬ ডিসেমম্বর সে উদ্দেশ্যেই দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।
যাওয়ার আগে আজ(২৪ ডিসেম্বর) মিরপুর একাডেমীতে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফির সান্নিধ্যে এসেছিল দলের খেলোয়াড়রা, নিয়েছেন পরামর্শ। মাশরাফিও ছোটভাইদের সাথে ভাগাভাগি করেছেন নিজের অভিজ্ঞতা, শিখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধ পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার কৌশল। মাঠে পরিস্থিতি সামলানোর পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া পাশাপাশি চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
খেলাটাকে উপভোগের পাশাপাশি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার জন্যই বলেছেন সাইফ-আফিফদের, সেমিফাইনাল খেলবো, চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবো এমন কিছু নিয়ে না ভেবে নিজেদের সেরাটা দেওয়াটাতেই মনযোগী হতে বলেছেন, ‘ ‘যেটা বলেছি মানসিকভাবে শক্ত থাকতে। কারণ ওখানে যেয়ে চিন্তা করতে পারে ওয়েদার, উইকেট কন্ডিশন সবকিছু আমাদের বিরুদ্ধে। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের জাতীয় দল যখন যায় এটাই নরমাল থাকে। ওদেরকে বলেছি মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতে। অ-১৯ এমন একটা সময় আমি বুঝি ওরা যত ফ্রি ক্রিকেট খেলবে যত এনজয় করবে ততই ভালো। আমাদের সেমিফাইনালে যেতে হবে বা বিশ্বকাপ জিততে হবে এই প্রেসারটা ওদেরকে না দেয়াই শ্রেয়। ওরা যেন ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পারে এটাই ওদেরকে বলেছি।’
নিজেদের সময় একজন মাশরাফির অভাবে ভুগলেও নিজের উত্তরসূরিদের জন্য মাশরাফি নিজেই এগিয়ে এলেন। আফিফ-সাইফরা কতটুকু নিতে পারেন মাশরাফির পরামর্শ থেকে সেটাই দেখার বিষয়!