

চলতি বছরটা খুব একটা সুখকর যাচ্ছে না শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে। বছর শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি থাকলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারছেন না লঙ্কান ক্রিকেটাররা। নতুন বছরের শুরুর দিকেই আবার মাঠে নামতে হবে তিন জাতীর ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে, বাংলাদেশে সেই সিরিজ শেষেই আবার ঘরের মাঠে নিয়মিত পারফর্ম করা স্বাগতিক টাইগারদের সাথে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবচনায় শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের এই সিরিজ স্বাগতিক সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবরি বটে, তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে লঙ্কান শিবিরে সাবেক টাইগার বস হাথুরুসিংহের উপস্থিতি! চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে দারুণ এক সুবিধা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। টাইগারদের তৎকালীন প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে ও ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা জানতেন লঙ্কানদের হাঁড়ির খবর।
এবারের পরিস্থিতিটা একদমি উল্টো। জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে লঙ্কান কোচিং স্টাফের দায়িত্বে থাকছেন হাথুরুসিংহে, সামারাবিরা’রা। এজন্যই এই সিরিজ নিয়ে চিন্তায় বিসিবি। বাংলাদেশের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ হন সামারাবিরা। টাইগারদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হাথুরুসিংহে তিন বছরের জন্য চুক্তি সেরেছেন শ্রীলঙ্কান প্রধান কোচের পদে।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক সভা শেষে আসন্ন সিরিজকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছেন জানিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানান, “সিরিজটা (শ্রীলঙ্কার সাথে) আমাদের কাছে মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালো করতে পারেনি তাই এই সিরিজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।”
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুটি সিরিজে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে একটি করে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। উপমহাদেশের দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেমন উইকেট বানানো হবে তা নিয়ে বেশ ভাবনায় আছে বোর্ড। প্রতিপক্ষ শিবিরে যোগ দিয়ে সাবেক শিষ্য সাকিব-মিরাজদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন করে তুলেছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে।
এই বিষয়ে আকরাম আরো যোগ করে বলেন, “এখানে চ্যালেঞ্জের চেয়ে চিন্তাটাই একটু বেশি। যেহেতু একটা দলের সাথে এতদিন হাথুরুসিংহে ছিলেন। আমাদের ভালো দিকটা তিনি যেমন জানতেন, জানেন দুর্বলতাগুলোও। এই জিনিসটা আমাদের জন্য বেশ চিন্তার। এই সিরিজটার পরে আমরা শ্রীলঙ্কায়ও খেলবো। সেটাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের ব্যাপার”