

সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ তাই বিসিবির ব্যস্ততা এখন নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর তারকা বহুল এই দলকে সামলাতে পারবে এমন এক হাই প্রোফাইল কোচই প্রত্যাশা করছে বোর্ড সেটি আর বলার অপেক্ষা থাকে না। ভারতকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানো কোন গ্যারি কার্স্টেনকেই তাই তোরজোড় করেই দলের হেড কোচ হিসেবে চাইছিল বিসিবি। কিন্তু তাকে দেখা যাবে দলের উপদেষ্টা হিসেবে।
বাংলাদেশ বর্তমান জাতীয় দলের প্রেক্ষাপটে এমন এক কোচ দরকার যে কিনা দেশকে বৈশ্বিক শিরোপা এনে দিতে পারবে। সেকারণেই বোর্ড ছুটেছিলো কার্স্টেনের দিকে। কিন্তু কার্স্টেন জানিয়েছেন শুধু মাত্র জাতীয় দলের খেলা থাকলেই দলের হয়ে থাকতে পারবেন তিনি। কিন্তু যে দলের লক্ষ্য অনেক দূর পর্যন্ত, তাদের কি পার্ট টাইম কোচ দিয়ে চলে? তাইতো পূর্ণ সময় দিতে পারবে দলকে এমন কাওকে খুঁজছে বোর্ড। কিন্তু কার্স্টেন যেহেতু বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন তাই কার্স্টেন কেও ছাড়তে চাচ্ছেনা এই মুহূর্তে। একারণেই উপদেষ্টা হিসেবে কার্স্টেনের বিসিবির সাথে যুগলবন্দি হতে পারে।
এ বিষয়ে আজ(বুধবার) বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘গ্যারির (কার্স্টেন) সাথে কথা হয়েছে তবে তা উপদেষ্টা হিসেবে, হেড কোচ হিসেবে নয়। শুধু জাতীয় দলের ব্যাপারে নয়, সব বিষয়ে তাকে আমরা চাচ্ছি। তবে ফেব্রুয়ারির আগে তাকে পাওয়া যাবেনা।’
ইতিমধ্যেই ফিল সিমন্স এবং রিচার্ড পাইবাসের সাথে সরাসরি কথা হয়েছে বিসিবির। কিন্তু এখনই কোনো সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারছেনা। দলের ভালোর কথা চিন্তা করে ওই মাপের কোচ নিয়োগের প্রসঙ্গকে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান চিন্তা করলে যেনতেন কোচ নিয়োগ করা যাবেনা। দারুণ কিছু রেজাল্ট দেখানো এই দলটির প্রয়োজন ভালো মানের একজন কোচ। হুট হাট কিছু করলে সেটা দলের উপর বাজে প্রভাব ফেলবে। আগের মত অবস্থা এতো সহজ নয়। ভেবে চিনতে সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে।’
‘এখনও ভুরি ভুরি সিভি জমা পড়ছে মেইলে। চাইলেই যে কাওকে নিয়োগ দিতে পারছিনা। কিছুটা সময় নিয়ে দলের ভালোর কথা ভেবেই কোচ নির্বাচন করবো। আমরা সবার সাথেই যোগাযোগ রেখেছি।’
বাংলাদেশ দল তাদের সাম্প্রতিক সাফল্যের পর কোন স্তরে এসে পৌঁছেছে তা এই কোচ নিয়োগ নিয়েই বুঝা যাচ্ছে। যেখানে একসময় জাতীয় দলের কোচ পাওয়াই ছিলো মুশকিল, কোচেরা এসে বোর্ডের ইন্টারভিউ নিতেন। সেখানে বাংলাদেশের কোচ হওয়ার জন্যে সকলের আগ্রহই বলে দিচ্ছে দল আর সেই আগের অবস্থানে নেই।