

লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠতে পারলো না লঙ্কানরা। পাকিস্তানের শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ১২ রান। দুই উইকেট আর মাত্র এক বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পার করে পাকিস্তান। শেষের দিকে শাদাব খানের ব্যাটিং দৃঢ়তা আর বোলিংয়ে ফাহিম আশরাফের হ্যাট্রিক নৈপুণ্যতায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।
সেরা দল নিয়েও ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আর টি-টোয়েন্টিতে থিসারা পেরেরার অধিনায়কত্বে লঙ্কানদের নিয়মিত মুখ কমই। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
টসে হেরে শুরুতে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন লঙ্কান ওপেনাররা। মুনাভিরা ১৯ রানে বিদায় নিলেও অর্ধশতক তুলে নেন আরেক ওপেনার গুনাথিলাকা। সামারাবিক্রমা ও গুনাথিলাকার ৬৩ রানের জুটিতে এক উইকেটেই একশ ছাড়ায় সফরকারীরা।
সামারাবিক্রমার বিদায়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে দেখা যায় ছন্দ পতন। এরপর গুনাথিলাকা ৪৮ বলে ৫১ রানে বিদায় নিলে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কান ইনিংসের ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে ফাহিম আশরাফ। টানা তিন বলে উদানা, উদাওয়াত্তে আর শানাকাকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাট্রিক উৎযাপন করেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ১০৬ রানে ২ উইকেট থেকে ১২৪ রানের পুঁজি তুলতেই শ্রীলঙ্কার নেই ৯ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৩০ রানে। এরপর দ্রুত বাবর আজমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন উদানা। ওপেনার আহমেদ শেহজাদ বিদায় নেন ২৭ রানে। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের দলপতি সরফরাজ আহমেদ। ২৬ বলে ২৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন তিনি। তবে দলীয় ১০৪ রানে তার বিদায়ে হারের শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান।
শেষদিকে নয়ে খেলতে নামা শাদাব খানের ৮ বলে ১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের বন্দরে পোঁছে যায় পাকিস্তান। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা।
এই সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি হবে আগামী ২৯ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কা ১২৪/৯ (২০ ওভার) গুনাথিলাকা ৫১, সামারিবিক্রমা ৩২; আশরাফ ৩/১৬
পাকিস্তান ১২৫/৮ (১৯.৫ ওভার) শেহজাদ ২৭, সরফরাজ ২৮; পেরেরা ৩/২৪
ফলঃ পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ শাদাব খান