

প্রথম ওয়ানডেতে লাথাম, টেইলরের ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিক ভারত। নিউজিল্যান্ডের সাথে তারাও তুলে নিল সমান ৬ উইকেটের জয়।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম মাঠে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।উইলিয়ামসনের এই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না তা জানান দিতেই যেন এদিন তৈরি ছিল ভারতের বোলাররা। স্বাগতিকদের পেসাররা প্রথম ওয়ানডের মত আজো দাঁড়াতে দেননি নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের।
২৭ রানে ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড আগের দিনে মত টেইলর ও লাথামের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আশা জাগালেও লাভ হয়নি তাতে। দলীয় ৫৮ রানে নিজের ২১ রানের সময় পান্ডিয়ার বলে ধোনির হাতে ধরা পড়ে ফেরেন টেইলর। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টম লাথাম ও হেনরি নিকোলাস মিলে গড়েন ৬০ রানের জুটি, লাথাম ফেরেন ৩৮ রান করে।
লাথামের আউটের পর নিকোলাস, গ্রান্ডহোম ও স্যাটনারের ব্যাটে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে নয় উইকেটে ২৩০ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন হেনরি নিকোলাস। ভারতের হয়ে ভুবেনেশ্বর কুমার নেন ৩ উইকেট।
২৩১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। শুরুতে ওপেনার রোহিত শর্মা ৭ রান করে আউট হলেও আরেক ওপেনার শিখর ধেওয়ান ছিলেন সাবলীল। রোহিতের আউটের পর অধিনায়ক ভিরাট কোহলির সাথে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। কোহলি ২৯ রানে আউট হলেও কার্তিকের সাথে ৬৬ রানে জুটি করে ধাওয়ান আউট হন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান করে।
ধাওয়ানের পর পান্ডিয়া ৩০ রান করে ফিরে গেলেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। পরে কার্তিক ও ধোনির ব্যাটে ৬ উইকেটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। কার্তিক ৬৪* এবং ধোনি ১৮* রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। কিউইদের হয়ে মিলনে, সাউদি, স্যাটনার ও গ্রান্ডহোম নেন একটি করে উইকেট।
তিন ম্যাচের এই সিরিজ ১–১ এ সমতা হওয়াতে, ২৯ অক্টোবর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে গেল এই সিরিজের অলিখিত ফাইনাল ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নিউজিল্যান্ডঃ ২৩০/৯ (৫০ ওভার) হেনরি নিকোলাস ৪২, কলিন গ্রান্ডহোম ৪১, ভুবেনেশ্বর কুমার ৩/৪৫, বুমরাহ ২/৩৮
ভারতঃ ২৩২/৪ (৪৬ ওভার) ধাওয়ান ৬৮, দীনেশ কার্তিক ৬৪*, মিলনে ১/২১, স্যাটনার ১/৩৮
ফলঃ ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ভুবেনেশ্বর কুমার