

প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৪ রানের হারের পর শেষ একদিনের ম্যাচেও ২০০ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি সফরকারীরা। বর্তমান সময়ে টাইগারদের এমন বাজেভাবে হার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্টের পর ওয়ানডেতেও ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। নিজের পঞ্চাশতম অধিনায়কত্বের ম্যাচ শেষে পুরো সিরিজে দলের মূল্যায়ন নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যা,
‘ওদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা সব জায়গাতেই পিছিয়ে ছিলাম। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো করতেই পারিনি, খুব বাজেভাবে ম্যাচগুলো হেরেছি। আমার কাছে মনে হয়, যে সময়টা গেল এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই সতর্কবার্তা। এবং আমরা যারা খেলোয়াড় আছি, আমাদের এখনই এটায় নজর দিতে হবে। নাহলে সামনের বিশ্বকাপ বা বাইরের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো এর থেকে কঠিন হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেললেও নিজেদের পারফরম্যান্সে তেমন খুশি ছিলেন না মাশরাফি। এরপর প্রোটিয়াদের সঙ্গে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে না পেলেও এখান থেকে সতীর্থদের শিক্ষা নিতে বললেন অধিনায়ক।
‘এটা আমাদের জন্য খুব ভালো হল, একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার। কিন্তু এটাও ঠিক যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই এরকম হয়ে আসছে। এখানে বোলাররা, ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে পারিনি। আমার মতে, আমাদের সব খেলোয়াড়দের আলাদাভাবে এখনই খুঁজে বের করা উচিত যে আমরা কোন কারণে পারছি না।’
সিরিজের শেষ ম্যাচে যেখানে কোন সেঞ্চুরি ছাড়াই প্রোটিয়ারা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিনশো, সেখানে বাংলাদেশের সংগ্রহ পেরোতে পারেনি দুইশও। টাইগার ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যাটিংয়ে হতাশার সুর মাশরাফির কণ্ঠে।
‘এখানে যা করার চেষ্টা করেছি, মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকায় সেটাও করা সম্ভব হয়নি। এরকম ব্যাটিং অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়, হতাশাজনক ব্যাটিং। এখানে আরও বড় রান করা অবশ্যই উচিত ছিল।’