

টেস্টের সাদা পোশাকে স্বাগতিকদের কাছে হতে হয়েছিল ধবলধোলাই। ওয়ানডের রঙিন পোশাকে বাংলাদেশ দল জানিয়েছিল ফিরে আসার প্রত্যয়। তবে পোশাক আর ফরম্যাটটা বদলালেও বদলায়নি টাইগারদের ভাগ্য। ঘুরেফিরে ওয়ানডে সিরিজেও প্রোটিয়াদের কাছে হতে হয়েছে চুনকাম।
সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছে নিজেদের ইতিহাস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানে। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা হেরেছিল ২৩৩ রানে। আর বাফেলো পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেয়া ৩৭০ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে গিয়ে মাশরাফির দল গুটিয়েছে ১৬৯ রানে। ২০০ রানে ম্যাচ জিতে নিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইটাও সেরে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
বিপর্যয়ের শুরুটা নিজেদের ইনিংসের প্রথম থেকেই। দলের সংগ্রহ মাত্র ২০ রান, নেই তিন উইকেট! ইমরুল কায়েস, লিটন দাস আর সৌম্য সরকার সাজঘরের রাস্তা ধরেছেন পরপরই।
সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমে ভর করে পঞ্চাশের ঘরে পার হয়েছিল বাংলাদেশ। ফেলুকওয়ায়োর বলে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক ফিরে গেছেন রাবাদাকে ক্যাচ দিয়ে। মাহমুদুল্লাহ আউট হবার আগে সংগ্রহ করেছিলেন ২ রান। ৬১ রানে বাংলাদেশের নেই ৬ উইকেট!
সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৬৭ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি নিজেও তুলে নিয়েছিলেন অর্ধশতক। তবে নড়বড়ে সাকিব বেশ কয়েকবারই খেলেছেন নড়বড়ে শট। আউট হওয়ার ঠিক আগের বলটাতেও পেয়েছিলেন জীবন।
অভিষিক্ত মারক্রামের পরের বলে ফের হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডুমিনির হাতে। দলের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে সাজঘরের পথে সাকিব, বল খেলেছিলেন ৮২টি। ইনিংস সাজিয়েছিলেন ৮ চারে।
৩৯ রানে সাব্বির রহমানকেও ফিরিয়েছেন মারক্রাম। মাশরাফি, মিরাজদের শেষদিকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ডেইন প্যাটারসন আর ইমরান তাহির বাংলাদেশকে অলআউট করে দেয় ১৬৯ রানে। এছাড়া বল হাতে যে বোলারই এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে, সবাই-ই দেখা পেয়েছেন উইকেটের।
চোট পেয়ে শতক বঞ্চিত হলেও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কারটা গিয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের ঘরেই। আর সিরিজ সেরার তকমা এঁটেছে কুইন্টন ডি ককের গায়ে।
দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পচেফস্ট্রুমে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে দু’দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ৩৬৯/৬ (৫০ ওভার) ডু প্লেসিস ৯১ (আহত অবসর), ডি কক ৭৩, মারক্রাম ৬৬, বাভুমা ৪৮, বেহারদিন ৩৩*, ভিলিয়ার্স ২০। মিরাজ ২/৫৯, তাসকিন ২/৬৬, রুবেল ১/৭৫
বাংলাদেশঃ ১৬৯/১০ (৪০.৪ ওভার) সাকিব ৬৩, সাব্বির ৩৯, মাশরাফি ১৭, মিরাজ ১৫। প্যাটারসন ৩/৪৪, মারক্রাম ২/১৮, তাহির ২/২৭, ফেলুকওয়ায়ো ১/১৩, মুল্ডার ১/৩২, রাবাদা ১/৩৩
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ২০০ রানে পরাজিত।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
ম্যান অফ দ্যা সিরিজঃ কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
সিরিজঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।