

প্রশ্নটা যখন নিরাপত্তার, তখন ভাবতে হবে বেশ কয়েকবার। ২০০৯ সালে লঙ্কান ক্রিকেট দলের বাসে হা-ম-লার কেটে গেছে ৮ বছর, সেদিনের লাহোর হা-ম-লার পর আবার পাকিস্তান সফর করবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফর করলেও নিরাপত্তার বিষয়টা ভাবাচ্ছে ক্রিকেটারদের।
পাকিস্তানের সাথে চলতি ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যার বাকিগুলো আরব আমিরাতে হলেও শেষ ম্যাচটি আগামী ২৯ অক্টোবর পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। পাকিস্তান সফরের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সেখানে খেলতে অনীহা জানিয়েছেন বেশ কিছু ক্রিকেটার।
তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে যত বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়কে বোঝানোর, পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টার ট্যুর অনিরাপদ হবে না তাদের জন্য। নির্বাচকরা ক্রিকেটারদের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি যারা খেলবে শুধুমাত্র তারাই আবুধাবির প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে থাকবেন।
লঙ্কার ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা লাহোর সফর প্রত্যাখ্যান করবেন তাদেরকে অন্য দুটি টি-টোয়েন্টিতেও বিবেচনা করা হবে না বলে এসএলসি থেকে জানানো হয়েছে! অর্থাৎ, পাকিস্তানে যেতে রাজি না হলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জায়গা হারাবেন ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত আসরের লঙ্কান দলনেতা উপুল থারাঙ্গা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সফরে থাকছেন না তিনি। সেক্ষেত্রে বোর্ড যদি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে তিন ম্যাচের এই সিরিজের জন্য নতুন অধিনায়ক পাবে শ্রীলঙ্কা।
এই সিরিজটি হয়তো সাইডবেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রমাণের বড় একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ ক্রিকেটারদের চেয়ে জাতীয় দলে কম সুযোগ পাওয়ারাই লাহোর সফর করতে বেশি আগ্রহী।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গ্রাহাম লাবরয় বলেন, ‘আমরা বলতে পারি যে সিরিজটিতে আমরা একটি স্কোয়াডই পছন্দ করবো। ক্রিকেটারদের প্রতি সুবিচার করার জন্য যারা লাহোর ম্যাচের খেলার জন্য প্রস্তুত তাদেকেই স্কোয়াডে রাখা হবে।’
এই সিদ্ধান্তটা এসেছে বোর্ড ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে, জানিয়ে গ্রাহাম লাবরয় বলেন, ‘এ মুহূর্তে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলছে বোর্ড। তাই নির্বাচকরা ঠিক জানেন না ২০ ওভারের সিরিজে কারা স্কোয়াডে থাকছেন। কিন্তু শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তা আমাদের জানতে হবে। এসএলসির নির্বাহী কমিটির দু’জন সদস্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’