

সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল এ দুজনকে ছাড়া বাংলাদেশ শেষ টেস্টে মাঠে নেমেছিল বছর চারেক আগে। গলে লঙ্কানদের বিপক্ষে সাকিব-তামিম ছাড়াই বাংলাদেশ পেয়েছিল সম্মানের এক ড্র। ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হওয়ার আগে মুশফিকও মনে করিয়ে দিলেন সেই ম্যাচের কথা।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলতি সিরিজে বিশ্রামে থাকায় দলে নেই সাকিব। বাঁ ঊরুর পেশির চোটে ম্যাচের একদিন আগে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবালও। ২০১৩ সালের পর তাই বাংলাদেশকে আবারও নামতে হচ্ছে সাকিব তামিমকে ছাড়াই। তবে, সেবার কাঁধে ছিলোনা ৩৩৩ রানের বড় পরাজয়ের বোঝা।
দ্বিতীয় টেস্টে ম্যানগাউং ওভালে মাঠে নামার আগে দলনায়ক মুশফিকুর রহিম মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। সাকিব আর তামিমের না থাকার প্রসঙ্গ উঠারই ছিল, উঠেও গেলো।
“আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। আমি যদি ভুল না করে থাকি, এই দুই জনকে ছাড়া আমরা সম্ভবত শেষ টেস্ট খেলেছিলাম গলে। সেই টেস্ট আমরা ড্র করেছিলাম। সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য অত সহজ ছিল না। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা দলে যে খেলোয়াড়রা ছিলেন তারা এখনকার ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক ভালো ছিলেন।”
হয়তো গলের সেই টেস্ট থেকে অনুপ্রেরণাটা ঠিকই নিচ্ছেন মুশফিক। কিন্তু সাকিব-তামিমের অভাবটা যে অপূরণীয় সেটাও মেনে নিয়েছেন দলপতি। দলের সেরা দুই ক্রিকেটারকে ভীষণ প্রয়োজন ছিল এত বড় পরাজয়ের ঠিক পরের ম্যাচটায়!
“আপনার সেরা দুই খেলোয়াড় যখন থাকবে না। আমি বলবো আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ধাক্কা। ওদের খুব দরকার ছিল এখানে। কারণ, আপনারা জানেন প্রথম টেস্ট আমরা খুব বাজেভাবে হেরেছি।”
এক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম মাঠে নামতে পারছেন না দ্বিতীয় টেস্টে। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য অবশ্য ফিরছেন ব্লুমফন্টেইনে। দলের বাকি সদস্যদের প্রতি সাকিব আর তামিমের অনুপস্থিতিতে আরও দায়িত্বশীল হতে তাই মুশফিকের বার্তা।
“আমি মনে করি, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। আমাদের অন্য খেলোয়াড় যারা আছে তারা যদি সুযোগ কাজে লাগায় তাহলে ভালো কিছু হবে।”
গল টেস্টে বাংলাদেশ আর নিজের দুইয়ের হয়েই প্রথম দ্বিশতক গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার ব্লুমফন্টেইনের ঘাসে ঢাকা উইকেটে গলের সেই ম্যাচ কতটুকু প্রেরণা জোগাতে পারে সাকিব-তামিম বিহীন টিম বাংলাদেশকে সেটাই এখন মুখ্য!