

ম্যাচের দিন বাকি ছিল একটাই। ফলাফল হতে পারতো দুটি। হয় ড্র না হয় খুলনাকে হেরে যেতে হবে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। ফলোঅনের শিকার হয়েও শেষদিনের মাটি কামড়ে থাকা ব্যাটিংয়ে খুলনার ড্র’টা ছিল তাই জয়ের সমানই।
খুলনা বিভাগের সামনে প্রথম স্তরের চারদিনের ম্যাচটাতে জয়ের কোন সম্ভাবনাই ছিলনা। একটাই রাস্তা খোলা ছিল, সেটা ড্র। সোমবার চতুর্থ এবং শেষদিনের ৮৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে খুলনা হারেনি ম্যাচটা। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ড্র করেই মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ঢাকা বিভাগের তিন সেঞ্চুরিতে গড়া ৫১৯ রানের বিপক্ষে খুলনার সংগ্রহটা ছিল ২৪৭। ফলোঅনে পড়ে শেষদিনের খেলা গড়ানোর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে আব্দুর রাজ্জাকের দলের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেট ৭ রান।
দিনের শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিংয়ে খুলনা ইঙ্গিত দিচ্ছিল ম্যাচটা বাঁচানোর। প্রথম ২২ ওভারে এমানুল হক বিজয় আর রবিউল ইসলাম উদ্বোধনী জুটিতে রান তোলেন মাত্র ২৯!
রবিউল ইসলাম আর মেহেদি হাসানকে দ্রুত ফিরিয়ে অবশ্য ঢাকার জয়ের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছিলেন ম্যাচে শতক তুলে নেয়া মোশাররফ রুবেল। কিন্তু উইকেট শিকড় গড়ে বসে থাকা এনামুল হক অভিজ্ঞ তুষার ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকাকে উপহার দিয়েছেন হতাশা।
সোয়া চার ঘণ্টা টিকে থেকে এনামুল ফিরেছেন ৩৫ রান করে, বল খেলছেন ১৭২টি। তুষার ইমরানের সংগ্রহ ১৮৯ বলে ৬৩। এই দু’জন ফিরলেও মোহাম্মদ মিঠুন আর নুরুল হাসান সোহান টিকে থাকেন দিনের শেষ পর্যন্ত। ৭০ বলে মিঠুন করেছেন অপরাজিত ৩৭ রান।
ঢাকার প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক শতকে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৬ রান এসেছিল নাদিফ চৌধুরীর ব্যাটে। চারদিনের ম্যাচটায় তাই কেউ ছিলনা সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারে নাদিফের প্রতিপক্ষ । ম্যাচ সেরার সম্মান গেছে তার ঘরেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংসঃ ৫১৯/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংসঃ ২৪৭/১০
খুলনা বিভাগ ২য় ইনিংসঃ ১৮০/৪ (৯০ ওভার) তুষার ৬৩, মিঠুন ৩৭*, এনামুল ৩৫, সোহান ১০*। মোশাররফ ২/১৬, শুভাগত ২/৫২
ফলাফলঃ ম্যাচ ড্র।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ নাদিফ চৌধুরী (ঢাকা)।