

জিতবেন এমনটা হয়তোবা ডু প্লেসিসের ভাবনায় ছিল, থাকতেই পারে। শেষদিনে প্রতিপক্ষের হাতে আছে সাত উইকেট, জিততে প্রয়োজন ৩৭৪ রান। জয়টা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু লাঞ্চের আগে এক সেশনেই টাইগাররা হেরে যাবে ম্যাচ এমনটা চিন্তায়ই ছিলনা প্রোটিয়া কাপ্তান ডু প্লেসিসের।
পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকা বল করেছে ১৭.১ ওভার। আর সময়ের হিসাবে মাত্র ৮৩ মিনিট! তাতেই বাংলাদেশকে স্বাগতিক বোলাররা গুটিয়ে দিয়েছে শ’রানের আগেই। সব মিলিয়ে ৩২.৪ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৯০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।
মর্কেল ছিলেন না শেষদিনের প্রোটিয়া দলে। সাইড স্ট্রেইনের চোটে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছেন চতুর্থ দিনের শেষবেলায়। তবে মর্কেলের অনুপস্থিতি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের বাসনায় সাধতে পারেনি বাদ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে ডু প্লেসিস বলেছেন জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসীই ছিল দল।
“গত চার দিন ধরে বাংলাদেশ খুব চাপে ছিল। আমরা জানতাম, সকালে একটা বা দুইটা উইকেট নিতে পারলে ওদের ওপর চাপ আরও অনেক বাড়বে। আর সেই চাপেই ওরা ভেঙে যাবে। তবে এত তাড়াতাড়ি জিতে যাব সেটা ভাবতে পারিনি।”
উইকেটটা মোটেই ছিলনা বোলারদের সহায়ক। তারপরেও অতিথিদের ডোবানো গেছে একশরও কম রানের লজ্জায়। বড় জয়ে সিরিজে এগিয়ে তাই সন্তুষ্ট ডু প্লেসিস।
“উইকেটে দুই দলের কারোর জন্যই খুব একটা সহায়তা ছিল না। গ্রাউন্ডসম্যান বলেছিল, তৃতীয় দিনের শেষ বেলা থেকে স্পিন করতে পারে। সেটাই হয়েছে। আমরা যে পেস আর বাউন্স চেয়েছিলাম, সেটা এখানে খুব মন্থর ছিল। এমনকি টেলএন্ডারদের কেউ কেউ খুব সহজে খেলেছে।”