

শেষ দুই বছরে অনেক অনেক অর্জনের পালক বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মুকুটে। তবে মুশফিক মনে করছেন প্রোটিয়া সফরের বাকি অংশটায় যদি নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ তবে জমানো সম্মানের সব জলাঞ্জলি দিয়েই ধরতে হবে দেশের বিমান। সতীর্থদের উদ্দেশ্যে তাই কাপ্তানের সতর্কবার্তা দ্রুত ফিরে আসার।
বোলিংটা তো দুই ইনিংসের কোনটাতেই মেটাতে পারেনি প্রত্যাশা। ব্যাটিংয়ে যা একটু প্রথম ইনিংসে ভাল করা গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে পেতে হয়েছে বছর দশেক পর শতরানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জা। ৯০ রানে টাইগারদের ফিরিয়ে দিয়ে স্বাগতিকরা ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে।
সতীর্থদের এমন নৈপুণ্যে ভীষণ হতাশ মুশফিকুর রহিম। পরের টেস্টে ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্রিকেটারদের সেরাটা দিয়ে ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন দলনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক সতর্ক করেছেন দলের খেলোয়াড়দের।
“আমাদের আরেকটা সুযোগ আছে পরের টেস্টে। অবশ্যই অনেক বড় কিছু করে দেখাতে হবে নয়তো এরকম লজ্জা ছাড়া আমরা কিছুই নিয়ে যেতে পারব না। চেষ্টা থাকবে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেন আমাদের সেরাটা দিতে পারি। গত দুই-তিন বছর ধরে আমরা যে সম্মান অর্জন করেছি সেটা যেন বজায় রাখতে পারি। সেটা যেন না হারাই সেই চেষ্টাই থাকবে।”
শেষদিনে উইকেট পাল্টায়নি খুব একটা। দিব্যি দাঁড়িয়ে থেকে দিন পার দেয়া যেতো সেনওয়েস পার্কের উইকেটে। মুশফিক নিজেও বিস্মিত মাত্র ৩৫ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে ফেলায়।
“সত্যি বলতে কি, জেতাটা অসম্ভবই ছিল। বিশেষ করে দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষে আমরা যে জায়গায় ছিলাম। কিন্তু ড্র করা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। উইকেট এমন কোনো আনপ্লেয়বল কিছু হয়নি বলে নিজেদের ওপর আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস ছিল। ভাবিনি একটা সেশনের মধ্যে ৭ উইকেট পড়ে যাবে।”