

পুরো ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার খেলেছেন প্যাডল সুইপ। টেন্ডাই বাভুমার অনেক রানও এসেছে এই সুইপ দিয়েই। কিন্তু সেই সুইপ করতে গিয়েই উইকেট খুইয়েছেন মুমিনুল হকের বলে। তবে সেই উইকেটে মুমিনুলের চেয়ে কৃতিত্বটা বড় বেশি উইকেটরক্ষক লিটন দাসের। বিচক্ষণ লিটনের দারুণ এক ক্যাচে ফিরে গিয়েও প্রশংসা করতে এতটুকুও কার্পণ্য করলেন না বাভুমা।
মুমিনুলের বেশ কয়েকটা বলে বাভুমা খেলছিলেন প্যাডল সুইপ। চতুর লিটন সুযোগ খুঁজছিলেন সেই শটের ফায়দা উঠাতে। বাভুমাও মাটিতে হাঁটু গাড়লেন আর লিটনও সরলেন লেগ স্টাম্প থেকে অনেকটা। ফলাফল ব্যাট ছুঁয়ে বলটা সোজা বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়া লিটনের গ্লাভসে।

পচেফস্ট্রুম টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে বাভুমা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দলের প্রতিনিধি হিসেবে। আর সেখানেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এভাবে আউট হয়ে আর লিটনকে ভাসিয়েছেন স্তুতিতে।
“এভাবে কখনও আউট হইনি। আমি এমন একটা শট খেলেছি, যেটা প্রচুর খেলি। আমি মনে করি, উইকেটরক্ষক ক্যাচটা নিতে বিশেষ কিছু করেছে।”
দারুণ ক্ষিপ্রতায় বিপক্ষ উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের বেলসও উড়িয়েছেন লিটন। সব মিলিয়ে বাভুমা ভীষণ মুগ্ধ লিটন দাসের উইকেটরক্ষণে।
“গ্লাভস হাতে ওর ম্যাচটা দারুণ কেটেছে। এমন একটা উইকেটে চমৎকার কিপিং করেছে যেখানে স্পিনে বাউন্স অসমান। ও খুব ভালোভাবে সামলেছে এই টেস্টে।”
রোববারের দিনশেষে লিটন দাস এসেছিলেন গ্ণমাধ্যমকর্মীদের সামনে। সেখানে বলেছেন এটিই প্রথম নয়, গত লঙ্কা সফরেও এভাবেই ফিরিয়েছিলেন নিরোশান ডিকওয়ালাকে। তবে খুব একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি সে নিয়ে। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকের মতে সবই খেলারই অংশ।
“শ্রীলঙ্কায় গল টেস্টে নিরোশান ডিকভেলার একটা ক্যাচ নিয়েছিলাম এভাবে। কিপিং সবসময় উপভোগ করি। কখনো মিস হয়ে যায়, কখনো ভালো কিছু হয়। এর ভেতরেই শেষ। এটা খেলার অংশ। ধরতে পারলে ভালো লাগে।”