

পচেফস্ট্রুম টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত প্রোটিয়াদের রান ৩ উইকেটে ২০৩ রান। বাভুমা ব্যাট করছেন ৬৪ রান নিয়ে এবং অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস অপরাজিত ৭৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ৩৭৯ রানের।
আমলার বিদায়ের পর শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন ডু প্লেসিস। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় প্রোটিয়া কাপ্তান টেস্টে ক্যারিয়ারের ১৫তম অর্ধশতক করেছেন মাত্র ৫৫ বলে। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটে জমে থাকলেও পরবর্তীতে রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছেন বাভুমা, ইমরুল কায়েসের হাতে একবার জীবন পেয়ে তুলে নিয়েছেন ৯ম টেস্ট ফিফটি।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২৯.১ ওভারে ১৪৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে ১৩৩ রানই আসে বাভুমা ও ডু প্লেসিসের ব্যাট থেকে। দু’জনের ব্যাটে প্রোটিয়াদের লিড ছাড়িয়ে যায় সাড়ে তিনশো।
লিড বাড়িয়ে নেওয়ার তাগিদে খেলতে নামা আমলা দিনের শুরুতেই ফিরে গেছেন। মুস্তাফিজের দারুণ কাটারে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে তালুবন্দি হন। সাজঘরে ফেরার আগে আমলা ৪৩ বলে করেছেন ২৮ রান।
এর আগে তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে ছিল ২ উইকেটে ৫৪ রান। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের বড় লিড পাওয়া প্রোটিয়ারা আগেরদিন এগিয়ে ছিল ২৩০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব রান তুলে টাইগারদের বড় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া।
অন্যদিকে, সঠিক লাইন লেংথে বল করে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো বোলিং করছিলেন শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমানরা। প্রোটিয়াদের দ্রুত রান তুলার মিশনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন টাইগার পেসাররা। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। দিনের শুরুতে যে নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছিলেন সেটা পরবর্তীতে ছিল নিষ্প্রাণ। ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান তুলে বোলারদের ভুগিয়েছেন বাভুমা-প্লেসিস জুটি।
এর আগে সেনওয়েস পার্কে তৃতীয় দিন নিজের চতুর্থ ওভারে শফিউল এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন প্রথম ইনিংসে এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া ডিন এলগারকে।
মুস্তাফিজের কাটারে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত ওপেনার মার্করাম। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা মার্করাম রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। কেননা, রিপ্লেতে দেখা গেছে ব্যাটে বলের ছোঁয়া লাগেনি। এরপর আমলা প্রোটিয়াদের রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করলেও মুস্তাফিজের কাটারে হয়েছেন কুপোকাত। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রুত রান তোলার টার্গেটে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন কাপ্তান ডু প্লেসিস ও বাভুমা।
এর আগে বাংলাদেশ ৩২০ রানে সবকটি উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানে পিছিয়ে ছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে। শুরুতে বিপদে পড়লেও মুমিনুল হক ও তিন টেস্ট পর দলে জায়গা পাওয়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দ্বিতীয় ইনিংস খেলা নিশ্চিত করে অতিথিরা। তবে শেষদিকে ২৮ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মুশফিকুর রহিমের দল।