

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম আর টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ১৪ তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে মাহমুদুল্লাহ হয়তো জানান দিয়ে দিলেন, আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি।
রিয়াদের আগে আরেক অবহেলিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ৭৭ রান করে হয়তো নিজেকে আবারও প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৪৯৬ রান টপকানোর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে বাংলাদেশ শিবিরে নেমেছিলো ব্যাটিং ধ্বস।
আগের দিন শেষ বিকালে ব্যাটিং করতে এসে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনারই। শুরুর দিকে উইকেটের আচরণ দেখে শঙ্কা জাগার মতই অবস্থা, ফলোঅন এড়াতে পারবেতো বাংলাদেশ!
সেই শঙ্কা কেটে অন্তত ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ। আগের দিন আইসিসি’র নতুন নিয়মের আদলে পড়ে নিয়মিত ওপেনার তামিম খেলতে পারেননি শুরু থেকে। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিলো চার নাম্বারে।
লিটন দাস ২৫, কায়েস ৭ আর মুশফিক আউট হন ৪৪ রান করে। তামিমের ৩৯ রান করে বিদায়ের পর রিয়াদের সাথে জুটি গড়ে ঠিক মতই এগোচ্ছিলেন মুমিনুল। ৭৭ রানের মাথায় মহারাজের করা ডেলিভারিতে কিছু বুঝে উঠার আগেই ক্যাচ তুলে দেন মারক্রামের হাতে।
মুমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা সাব্বিরের। খেলে যাচ্ছিলেন দেখে শুনেই। কিন্ত ৩০ রানের মাথায় অলিভারের করা বাউন্সার বল ব্যাটে লেগেই আঘাত করে স্টাম্পে। সাব্বিরের পর পরই আউট হন রিয়াদও। মরকেলের বলে বোল্ড আউট হন ১২৪ বলে ৬৬ রান করে।
চা-বিরতির আগ পর্যন্ত ৮৬ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৮ রান। শফিউল অপরাজিত আছেন ০ রানে, তাসকিন আছেন ১ রানে।