

প্রথম সেশনে বলার মত কিছুই ছিলনা বাংলাদেশের। দিনের দ্বিতীয় সেশনে একটু হলেও ফিরে আসতে শুরু করে টাইগাররা। চা-বিরতির পরের পরিকল্পনা আঁটতে ব্যস্ত যখন মুশফিকবাহিনী ঠিক তখনই বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণা করেন কাপ্তান ফাফ ডু প্লেসিস। আর এমন ঘোষণা শুনতে প্রস্তুত ছিলেন না তাসকিন আহমেদরা।
পায়ের পেশির চোটে প্রস্তুতি ম্যাচের শুরু থেকেই ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। টেস্টের প্রথমদিনের পুরোটাই করেছিলেন ফিল্ডিং। দ্বিতীয় দিনে চা-বিরতি পর্যন্ত হয়তোবা পারছিলেন না আর মাঠে থাকতে। তাই উঠে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
৪৯ মিনিট তামিমের বদলে মাঠে ছিলেন বদলি ফিল্ডার। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ডু প্লেসিস। টাইগার ব্যাটিংয়ের উদ্বোধনে তামিম যেন না থাকেন তাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ইনিংস। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে তাই উঠে আসতে হয় লিটন দাসকে। একটু আগেই যিনি সাজঘরে ফিরেছেন ১৪৬ ওভার কিপিং করে।
তবে, তাসকিন আহমেদের মতে এটা কোন সমস্যা নয়। বাংলাদেশ দলের সবাই যেকোন জায়গায় যেকোন সময় খেলতে প্রস্তুত রয়েছে। পচেফস্ট্রুমের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে তাসকিন জানিয়েছেন এমন পরিস্থিতিতে দলে পড়বেনা কোন প্রভাব।
“তামিম ভাইয়ের একটু সমস্যা হচ্ছিল। হঠাৎ করে ওরা ইনিংস ঘোষণা করাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উনি ইনিংস উদ্বোধন করতে পারেননি। আমি মনে করি না, তামিম ভাইয়ের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বা দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে। বাকিরা সবাই আছে, ওরা যে কোনো জায়গায় খেলতে প্রস্তুত।”
বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়ই এর আগে শিকার হয়নি এমন অবস্থার। তাই অবাকই হতে হয়েছে তাদের। চিন্তাটা যখন পরের সেশনের বোলিং নিয়ে তখনই হঠাৎ ব্যাট করতে নামতে হবে জেনে একটু ঘাবড়িয়েছে টাইগাররা। তাসকিন মনে করছেন এমনটা হতেই পারে, আপাতত সব রয়েছে ঠিকঠাক।
“ওরা তো হঠাৎ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। এটা নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমরা তৈরি ছিলাম না। এখন সব ঠিকই আছে। এত ফিল্ডিং করার পর যে কারোর ছোটখাটো সমস্যা হতেই পারে।”