

গত মাসে কোচ মিকি আর্থারের উপর তুলেছিলেন অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও করেছিলেন উমর আকমল। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শৃঙ্খলা কমিটি বানিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে তার উপর তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো।
নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে আকমলকে। এখানেই থেমে নেই আকমলের শাস্তি। আগামী দুই মাস বিদেশের কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। শাস্তি শেষ হলে সম্ভবত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শেষ দুই সপ্তাহের জন্য ছাড়পত্র পেতে পারেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
আকমলের উপর আরোপিত শাস্তির ঘটনার সূত্রপাত গত মাসে। সে সময় প্রেস কনফারেন্স ডেকেছিলেন আকমল এবং অভিযোগ তুলেছিলেন, কোচ মিকি আর্থার ট্রেনিং ক্যাম্প চলাকালীন তার প্রতি অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে পিসিবি’র শৃঙ্খলা কমিটি আকমলের সাথে কথা বলেন এবং সেখানে মিকি আর্থারের প্রতি আনা অভিযোগ ভুল বলে জানায়। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রিকেটারদের তাদের দায়িত্ব এবং কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
আকমলের কেন্দ্রীয় চুক্তি জুলাই মাসের মধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। দুই মাস আগে ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার সবসময় ফিটনেসের উপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এজন্যই আকমল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাচ্ছেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।