

প্রথম টেস্টের বেলা যত গড়িয়েছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের রান তোলার হার বেড়েছে তত। প্রথম দিন শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহটা ১ উইকেটে ২৯৮। সাব্বিরের কাছে প্রশ্ন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহটা হতে পারে কত? উত্তরে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান বলেছেন, বোলিংটা যদি এমনই চলতে থাকে তবে এলগার-আমলারা স্কোরকার্ডে তুলতে পারেন এক হাজার রানও!
পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশ দল নেমেছিল তিন পেসার নিয়ে। অথচ, লাভের ঘরটা শূন্যই। তিন পেসারের সাথে মুশফিকুর রহিম ব্যবধার করেছেন চার স্পিনারও। দিনশেষে বাংলাদেশের বোলারদের ঝুলিতে নেই এক উইকেটও, পতন হওয়া উইকেটটি এসেছে রানআউট থেকে।
দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাব্বির রহমান জানালেন বড় সংগ্রহের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কাটা। তার মতে যত কম রানে সম্ভব বেঁধে রাখতে হবে স্বাগতিকদের।
“ওরা যদি তিন দিন ব্যাটিং করে আপনি বলতে পারবেন না ওরা কত রান করবে। ১ হাজার রান হতে পারে, সাতশ রান পারে। যত কম রানে বাঁধা যায়। ওরা যত বেশি রান করবে আমাদের তত বেশি সমস্যায় পড়তে হবে।”
পুরো দিনে সুযোগ এসেছিলই দুটি। তাসকিন আহমেদের বলে মুস্তাফিজুর রহমান ক্যাচ ছেড়েছেন তৎপরতার অভাবে। যতক্ষণে মুস্তাফিজ এসেছেন এইডেন মারক্রামের ব্যাট থেকে উড়ে আসা বলের নিচে ততক্ষণে বল ড্রপ করেছে মাটিতে। আর দিনের শেষ ভাগে সাব্বির নিজের বলেই ক্যাচ ছেড়েছেন হাসিম আমলার।
দীর্ঘ সময় ধরে ফিল্ডিং যেন না করতে হয় সেজন্য সাব্বির তাগিদ বোলারদের তাগিদ দিয়েছেন আরও উন্নতি করার। “যদি ভালো বোলিং না করতে পারি তাহলে পাঁচ দিনও ব্যাটিং করতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি, উইকেট ফেলার জন্য বোলিং করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ভালো বোলিং করার জন্য, ভালো জায়গায় বোলিং করার জন্য। এর মধ্যে যদি রান বেঁধে রাখতে পারি আমাদের জন্য ভালো হবে।”
প্রথম দিনে একদম ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ঠিক হবে, জানতে চাইলে সাব্বির জানিয়েছেন একটি কথাই। প্রতিপক্ষকে যত কম রানে পারা যায় আটকে রেখে নিজেরা ব্যাটিংয়ে নামতে চান সাব্বির।
“আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে রান বেঁধে রাখা। রান যত কম দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করা। আগামীকাল আমাদের সেটাই লক্ষ্য।”
আগের দুই সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে খেলা চার টেস্টেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনও আতঙ্কের ডালপালা মেলছে ধীরে ধীরে। অপেক্ষাটা দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর, সাথে ব্যাটসম্যানদের সুপরিকল্পিত ব্যাটিংয়েরও।