

বেনোনির উইকেট ছিল পেস সহায়ক। কিন্তু তাতে ফায়দা তুলতে পারেনি টাইগার পেস বোলাররা। দ্বিতীয় দিন কেটেছে পুরোটা, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশকে অলআউট করতে পারেনি মুস্তাফিজ, তাসকিনরা।
প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬ রান। এর আগে স্বাগতিক আমন্ত্রিত একাদশ নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান তুলে।
উইলোমুর পার্কে আগের দিনের ১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা আমন্ত্রিত একাদশের জন্য খুব একটা সুখকর ছিলোনা। আরও ১৫ রান যোগ করতেই শফিউলের তাণ্ডবে সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। ৩৬ রানে স্বাগতিকদের নেই ৩ উইকেট।
তাসকিনের বলে জুবায়ের হামজা যখন ৬০ রান করে ফিরছেন মার্করামের দলের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১১০। স্বাগতইকদের অল্প রানে গুটিয়ে দেয়া তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একই বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশ। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাংলাদেশী পেসারদের ধার কমা শুরু হয়। শফিউলরা সারাদিনে উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র তিনটি। শন ভন বার্গ অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। ম্যাথু ক্রিস্টেনসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ রান।
পেসারদের সবাই দেখা পেয়েছেন উইকেটের। সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। শুভাশিস রায়, মুস্তাফিজুর রহমান আর তাসকিন আহমেদ শিকার করেছেন সমান এক উইকেট করে। মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম আর সাব্বির রহমানের ঝুলিতে গিয়েছে একটি করে উইকেট।
তামিমের হঠাৎ ইনজুরিতে উদ্বোধনী জুটিতে একটা পরিবর্তন অনিবার্যই ছিল। হয়েছেও তেমনটাই, লিটন দাসকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। দু’জন মিলে ৩ ওভার ব্যাট করে ৬ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফিরেছেন নতুন দিনে ভাল একটা শুরুর আশায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসঃ ৩০৬/৭; ইনিংস ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ১ম ইনিংসঃ ৩১৩/৮; ইনিংস ঘোষণা (৯১ ওভার) ভালি ১০, আইজ্যাক ১২, হামজা ৬০, ডু প্লয় ৪, ক্লাসেন ১৬, ম্যাথু ৪৪, ক্রিস্টেনসেন ৫৩, ভন বার্গ ৬২*, প্রিটোরিয়াস ৪২, বোকাকো ৫*। মুস্তাফিজ ১/২৮, শুভাশিস ১/২৭, মিরাজ ১/৫৬, শফিউল ২/৬১, তাসকিন ১/৭০, তাইজুল ১/৪৭, সৌম্য ০/১৪, সাব্বির ১/৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৬/০ (৩ ওভার) লিটন ২*, ইমরুল ৪*। প্রিটোরিয়াস ০/২, বোকাকো ০/৪