

আসন্ন বাংলাদেশের সাথে সাদা পোশাকে লড়াইয়ে নামার আগে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনজুরির জন্য সেরা পেস আক্রমণ সাজানো কঠিন হয়ে পড়েছে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য। এসব কিছু বিবেচনা করে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম।
ডেল স্টেইন পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। ভারনন ফিল্যান্ডার, ক্রিস মরিসও ইনজুরির জন্য দলের বাইরে। এছাড়া টাইগারদের সাথে টেস্টে এবি ডি ভিলিয়ার্সও নেই। সবকিছু নিয়ে অবগত মুশফিক জানিয়েছেন,
‘দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও অন্যতম সেরা দল। তাদের দারুণ কিছু ব্যাটসম্যান ও বোলার রয়েছে। তাদের দলে সামঞ্জস্য আছে। এটা দলীয় খেলা, তারা এখনও শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে খেলা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে স্টেইন ও ফিল্যান্ডারের অনুপস্থিতি আমাদের হয়তো কিছুটা সামনের দিকে রাখবে।’
প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে তেমন খারাপ করেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। পেস সহায়ক কন্ডিশনে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে দেখেশুনে ৬৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের কাপ্তান। তিনি আরও বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের বিপক্ষে খেলা মোটেও সহজ হবে না। তবে আমরা ভিনদেশে ভালো করতে চাই। আর এটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ বলে আমি মনে করি।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাভাবিকভাবেই সুবিধা পাবে পেসাররা। প্রোটিয়া পেস আক্রমণ সামলানোর পাশাপাশি দল হিসেবে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। মুশফিকের অভিমত, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় সব দলই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। দ্রুত গতির বোলাররা ও আমরা কিভাবে এখানকার চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারি সেটাই মুখ্য ব্যাপার। আমরা দেশের বাইরে বেশি সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলিনি। তবে গত আড়াই বছরে আমরা দল হিসেবে বেশ উন্নতি করেছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে ৭ উইকেটে ৩০৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তিন দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নয় বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে টেস্ট খেলতে নামবে মুশফিকুর রহিমের দল।