

প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে পেস সহায়ক উইকেটে আগ্রাসী বোলিং করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের পেসাররা। তামিম-মুশফিকদের চাপে রাখার জন্য প্রোটিয়া পেসারদের প্রধান অস্ত্র ছিল শর্ট বল। আর এই শর্ট বলের চ্যালেঞ্জ সতীর্থরা ভালোভাবেই সামলাতে পারেন বলে বিশ্বাস মুমিনুল হকের।
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে প্রোটিয়া পেসারদের বোলিং আক্রমণের সামনে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রস্তুতি ম্যাচেও সেরকম আভাসই দেখা গেল। শুরু থেকেই শর্ট বল দিয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাবু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল প্রোটিয়া পেসাররা।
তবে এই যাত্রায় ব্যাটিং তেমন খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। অবশ্য তিন অর্ধশতক ব্যাটসম্যানের একটা ইনিংস অন্তত শতক চেয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ ৬৮ রান করা মুমিনুল। বৃহস্পতিবার খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসে শর্ট বল নিয়ে মুমিনুলের ভাষ্য,
‘আসলে আপনি যদি মনে করেন শর্ট বল চ্যালেঞ্জ, তাহলে চ্যালেঞ্জ হবে। আর আপনি যদি মনে করেন এটা চ্যালেঞ্জ না, তাহলে চ্যালেঞ্জ হবে না। আর এটা কন্ডিশনের উপর নির্ভর করতেছে যে কিরকম হবে। আমার কাছে এরকম কিছু মনে হয়নি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের দলের সবাই শর্ট বল সামলাতে যোগ্য। অনেকে ভালো খেলে আবার অনেকে বিবেচনা করে ছেড়ে দিতে পারে।’
মূল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন ঠিকই তবে সে ইনিংস বড় করতে না পারায় কিছুটা হতাশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল, ‘দ্বিতীয় নতুন বলটা খেলার ইচ্ছা ছিল। সেটা করতে পারলে ভালো হত। আর সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই কন্ডিশনে ভালো ব্যাট করেছে। সবাই মানিয়ে নিতে পেরেছে।’
বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ৩০৬ রানের জবাবে প্রথম দিন শেষে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২১ রান। দ্বিতীয় দিন যত দ্রুত সম্ভব তাদের সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে চায় বাংলাদেশ, এমনটাই টাইগারদের লক্ষ্য বলে জানান মুমিনুল।