

ভারতীয় দলটাকে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় নামটা নিঃসন্দেহে মহেন্দ্র সিং ধোনির। প্রাপ্য হিসেবেই তাই ধোনিকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘পদ্মভূষণে’ ভূষিত করার সুপারিশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
২৮ বছর পর ভারত বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে ধোনিরই অধিনায়কত্বে। বিশ্বকাপটা হাতে নিয়েই থামেননি ধোনি ভারতের হয়ে একে একে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মুকুট। ফলে ধোনি ছাড়া আর কারো নাম পাঠাতে দু’বার ভাবতে হয়নি ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে।
বিসিসিআইয়ের এক মাধ্যম থেকে জানা গেছে, ধোনি ব্যতীত আর কারো নামই পাঠানো হয়নি বোর্ডের তরফ থেকে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির অবদান অনস্বীকার্য। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ধোনির নেতৃত্বেই জিতেছে ভারত। ২৮ বছর পর ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে ধোনিই। প্রায় ১০০০০ রান আছে ওয়ানডেতে। ৯০টির মত টেস্টও খেলেছে সে ভারতের হয়ে। তাই ধোনি ছাড়া অন্য কারো নাম ভাবাই হয়নি পদ্মভূষণ পুরস্কারের জন্য।’
পুরস্কারটা যদি ধোনির ঘরেই যায় তবে ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি পাবেন এই সম্মান। তার আগে ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার, চাঁদু বর্দে, লালা অমরনাথ, অধ্যাপক ডিবি দেওধর, সিকে নাইরু, রাজা বলিন্দ্র সিং এবং ভিজি।
পদ্মভূষণের আগে ধোনি সম্মানিত হয়েছেন আরও তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে। অর্জুন, পদ্মশ্রী এবং রাজীব খেলরত্ন যত্নের সাথেই রয়েছে ধোনির পুরস্কারের ক্যাবিনেটে।
ক’দিন আগেই ওয়ানডেতে পেয়েছেন শততম অর্ধশতক। উইকেটরক্ষক হিসেবে রয়েছে ১০০ ওয়ানডে স্টাম্পিংও। মাঠের রেকর্ড তো রয়েছেই, এবার মাঠের বাইরেও পুরস্কারের রেকর্ড গড়তেই পারেন ভারতের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক।